Wedding

‘দয়া করে আসবেন না’! আত্মীয়দের আমন্ত্রণপত্রে লিখলেন নববধূ, অতিথিদের দেওয়া হল বিশেষ দায়িত্ব

বিয়ে করবেন বলে দু’বছর ধরে টাকা জমাচ্ছিলেন পাত্র-পাত্রী। কিন্তু সব টাকাই ঘুরতে যাওয়ার জন্য খরচ করে ফেলেছিলেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৪ ১১:১৬

—প্রতীকী ছবি।

বিয়ে করবেন, অথচ তেমন অর্থ সঞ্চয় করতে পারেননি। বিয়ের অনুষ্ঠানে খরচ কোথায়, কী ভাবে কমানো যেতে পারে সে চিন্তাই করছিলেন হবু পাত্র-পাত্রী। অতিথিদের বিয়ের কার্ড পাঠালেও তাতে লেখা ছিল অদ্ভুত নির্দেশ।

Advertisement

সম্প্রতি রেডিটে এক নেটব্যবহারকারী তাঁর তুতো দিদির বিয়ের বর্ণনা লিখেছেন। এমন বিয়ের অনুষ্ঠান নাকি আগে কখনও দেখেননি তিনি। তরুণ নেটব্যবহারকারীর দাবি, বিয়ে করবেন বলে দু’বছর ধরে টাকা জমাচ্ছিলেন তাঁর দিদি। কিন্তু সব টাকাই ঘুরতে যাওয়ার জন্য খরচ করে ফেলেছিলেন তিনি। তাই কম খরচে যে ভাবে বিয়ে করা যায়, তারই পরিকল্পনা করেছিলেন হবু পাত্রী। শহর থেকে পাঁচ ঘণ্টার দূরত্বে একটি ছোট বাগান পছন্দ হয় তাঁর। সেই বাগানেই বিয়ে করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন পাত্রী।

অতিথিদের তালিকায়ও কাটছাঁট করতে হয় তাঁকে। তাঁর বন্ধুবান্ধবকে বিয়েতে নিমন্ত্রণ করতে পারবেন না বলে বিয়ের আগে তাঁদের উদ্দেশে একটি পার্টির আয়োজন করেছিলেন তরুণী। তা ছাড়া বিয়ের আগে আত্মীয়দের কার্ড পাঠিয়ে অনুষ্ঠানে না আসার অনুরোধ করেন তিনি। নিকটাত্মীয় ছাড়া পরিবারের অন্যান্য সদস্যকে নিমন্ত্রণ করতে চাননি পাত্রী। পাত্র এবং পাত্রী দু’জনেই তাঁদের আত্মীয়দের কার্ড পাঠিয়ে তাতে লিখে জানান, ‘‘আমরা বিয়ে করছি। কিন্তু আপনারা দয়া করে আসবেন না। এই শুভ দিনে আপনাদের আশীর্বাদ আমাদের সঙ্গে থাকবে।’’

নেটব্যবহারকারী জানান, বিয়ের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত অতিথিদের সংখ্যা খুবই কম ছিল। তাঁদের দিয়েও নাকি অনুষ্ঠানের বিভিন্ন কাজকর্ম করিয়েছিলেন নবদম্পতি। সাজসজ্জা থেকে শুরু করে টেবিলে খাবার পরিবেশন করা— সমস্ত কাজের দায়িত্বই বিয়েতে নিমন্ত্রিত অতিথিদের দিয়ে উপর চাপিয়ে দিয়েছিলেন নবদম্পতি।

আরও পড়ুন
Advertisement