ছবি: সংগৃহীত।
স্তন্যদুগ্ধের স্বাদের আইসক্রিমের পর এ বার তা দিয়ে তৈরি হচ্ছে প্রসাধনীও। আমেরিকার ওহায়োর বাসিন্দা তরুণীর দাবি, তিনি মেয়াদ-উত্তীর্ণ স্তন্যদুগ্ধ দিয়ে স্নানের জন্য ব্যবহৃত নানা রকম প্রসাধনী ও সাবান তৈরি করেন। নবজাতকদের সবচেয়ে পুষ্টিকর এই খাবারটি দিয়ে যে সাবান বা প্রসাধনী তৈরি করা যায়, তা দেখিয়ে দিয়েছেন প্রসাধনী সংস্থার মালিক টেলর রবিনসন। স্তন্যদুগ্ধ দিয়ে সাবান তৈরি করার একটি ভিডিয়োও নজর কেড়েছে সমাজমাধ্যমে (যদিও সেই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োয় টেলর ব্যাখ্যা করেছেন, কী ভাবে তিনি মেয়াদ-উত্তীর্ণ বুকের দুধ ব্যবহার করে স্নানের পণ্য তৈরি করেন এবং কী ভাবে তাঁর পণ্যগুলি গ্রাহকদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলা করতে সহায়তা করেছে। টেলরের দাবি, এগ্জ়িমা, সোরিয়াসিসের মতো চর্মরোগ এবং ত্বকের সমস্যাগুলির সমাধানে এই বিশেষ পণ্যটির ব্যবহার করেন গ্রাহকেরা। টেলর বলেন, ‘‘মায়েরা তাঁদের স্তন্যদুগ্ধ আমাদের কাছে পাঠান। সেই দুধ সাধারণত মেয়াদোত্তীর্ণ হয়। তাতে কোনও সমস্যা নেই। কারণ এটিকে সাবানে পরিণত করা হয়।’’
বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে তিনি জানান, ব্যাগ থেকে দুধ বার করে তাতে সাবান তৈরির মূল উপকরণ যোগ করেন এবং শেষে সেই মিশ্রণটি ছাঁচে ঢেলে দেন। সাবানের উপকরণ হিসাবে মাতৃদুগ্ধকে বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ হল এতে থাকা প্রাকৃতিক আর্দ্র উপাদান। তাঁর দাবি, এই উপাদানটি ত্বকের ভাল ময়েশ্চাইজ়ার হিসাবে কাজ করে। তাঁর এই পণ্য কেমন সাড়া ফেলেছে তা জানাতে গিয়ে টেলর বলেন, গ্রাহকদের মধ্যে ঘৃণা ও বিস্ময় দু’টিরই অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে কৌতূহল জাগিয়ে তুলেছে। কেউ কেউ এই পণ্য দেখে ভ্রু কুঁচকোলেও, অন্যেরা এর প্রাকৃতিক এবং সম্ভাব্য উপকারী বৈশিষ্ট্য দেখে আগ্রহী হয়েছেন। ভিডিয়োটি কয়েক হাজার বার দেখা হয়েছে সমাজমাধ্যমে।