bizarre

বজ্রপাতে ঝলসে গেল শরীর, অস্থায়ী পক্ষাঘাতে শয্যাশায়ী তরুণী, সুস্থ হয়ে পাল্টে গেল চোখের রং!

সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক পোস্টে নিজের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়েছেন কার্লি। দু’বছর আগে ভয়াবহ ঘটনার স্মৃতি আজও টাটকা। শারীরিক সমস্যা হওয়া ছাড়াও এই দুর্ঘটনার ফলে অদ্ভুত এক পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে তরুণীর দেহে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:৩৩
woman who was paralysed after being struck by lightning

—প্রতীকী ছবি।

ঝড় ও বজ্রপাত পছন্দ করতেন তরুণী। ঝড়-ঝঞ্ঝার প্রতি মুগ্ধতা থেকে তিনি শরীরে বজ্রপাতের থিমযুক্ত তিনটি ট্যাটুও করিয়েছিলেন। সেই ঝড় ও বজ্রপাতই ৩০ বছরের এই তরুণীর জীবনকে আমূল পাল্টে দিল একদিন। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের বাসিন্দা কার্লি। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ঝড়ের দৃশ্য আরও ভাল ভাবে দেখার জন্য বাইরে বেরোতেই ঘটে যায় এক মারাত্মক দুর্ঘটনা। মাথায় বাজ পড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন কার্লি। সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক পোস্টে নিজের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়েছেন কার্লি। দু’বছর আগে ভয়াবহ ঘটনার স্মৃতি আজও টাটকা। শারীরিক সমস্যা হওয়া ছাড়াও এই দুর্ঘটনার ফলে অদ্ভুত এক পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে তরুণীর দেহে। সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ফলে চোখের মণির রং বদলে গিয়েছে কার্লির।

Advertisement

কার্লি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বজ্রপাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মনে হয়েছিল তিনি মাদকের প্রভাবে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছেন। অসাড় হতে শুরু করে তাঁর সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। অনুভূতি হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘ঘামে ভিজে গিয়েছিলাম, মাথা হালকা হয়ে গিয়েছিল। আমি এক ইঞ্চিও নড়তে পারছিলাম না।’’

জরুরি চিকিৎসার কর্মীরা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছোন, তখন কার্লির পা এবং হাত নীল হয়ে গিয়েছিল। তিনি মাথা এবং ঘাড় ছাড়া আর কিছুই নাড়াতে পারছিলেন না। জেগে থাকা সত্ত্বেও শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি কয়েক ঘণ্টা ধরে জ্ঞানশূন্য অবস্থায় পড়েছিলেন। পরে তাঁর ‘কেরাউনো প্যারালাইসিস’ ধরা পড়ে। এটি এমন একটি অবস্থা, যেখানে বজ্রপাতের ফলে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে অস্থায়ী পক্ষাঘাত দেখা দেয়। সুস্থ হয়ে উঠে কার্লি আবিষ্কার করেন, তাঁর চোখের রং পাল্টে গিয়েছে। তাঁর আগের সবুজ চোখ এখন গাঢ় বাদামি হয়ে গিয়েছে বলে দাবি ওই তরুণীর। শুধু কার্লি নন, ২০১৭ সালে আমেরিকার আলাবামার বাসিন্দা এক কিশোরী দাবি করেছিলেন যে, বজ্রপাতের পর তার দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয়েছে। তার আর চশমা এবং লেন্সের প্রয়োজন হয় না।

Advertisement
আরও পড়ুন