bizarre

বালকের পেট ফুলে জয়ঢাক, পরীক্ষা করে হতবাক চিকিৎসকেরা! পেট কেটে বেরোলো...

চিকিৎসকেরা এক্স-রে করে দেখেন ছেলেটির অন্ত্রে একটি ভারী ধাতব বস্তু আটকে রয়েছে। আরও ভাল ভাবে পরীক্ষা করার পর তাঁরা নিশ্চিত হন যে বস্তুটি একটি শক্ত সোনার বাট।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৫ ১২:৪৬
old boy from China had to undergo surgery after swallowing a gold bar

—প্রতীকী ছবি।

১১ বছরের বালকের পেট অস্বাভাবিক ভাবে ফুলে উঠতে দেখে চিন্তিত হয়ে হয়ে পড়েছিলেন বাবা-মা। সে ভাবে পেটে ব্যথা বা কোনও বিশেষ কোনও অস্বস্তি অনুভব করেনি শিশুটি। তবে পেট ফুলতে থাকায় পরিবার তাকে দ্রুত শিশু হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে পরীক্ষা করেন চিকিৎসকেরা দেখতে পান, পেটে আটকে রয়েছে বড়সড় একটি ধাতব বস্তু। ঘটনাটি ঘটেছে চিনের জিয়াংসুতে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, চিকিৎসকেরা এক্স-রে করে দেখেন ছেলেটির অন্ত্রে একটি ভারী ধাতব বস্তু আটকে রয়েছে। আরও ভাল ভাবে পরীক্ষা করার পর তাঁরা নিশ্চিত হন যে, বস্তুটি একটি সোনার বার!

Advertisement

খেলা করতে গিয়ে কিয়ান নামের ওই নাবালক আস্ত একটা সোনার বাট গিলে ফেলেছিল। সেই সোনার বাটটির ওজন এক আধ গ্রাম নয়, পাক্কা ১০০ গ্রাম। অস্ত্রোপচার এড়াতে প্রাথমিক ভাবে তাকে ওষুধ দিয়ে মলের সঙ্গে সোনার বাটটি বার করে আনার চেষ্টা করা হয়। দু’দিন পরে, স্ক্যান করে দেখা যায় যে সোনার বাটটি এক চুলও নড়েনি। বাধ্য হয়ে চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। নাবালকের বয়সের ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে চিকিৎসকেরা সোনার বাটটি বার করে আনার জন্য ‘এন্ডোস্কোপিক সার্জারি’ করার সিদ্ধান্ত নেন। দু’জন চিকিৎসক এই অস্ত্রোপচারটি করেন। আধ ঘণ্টা পর কোনও জটিলতা ছাড়াই সোনার খণ্ডটি পেট থেকে বার করে আনা হয়।

অস্ত্রোপচারের পর দু’দিনের মধ্যে কিয়ান স্বাভাবিক হয়ে যায়। পাচনতন্ত্রের কোনও দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিও হয়নি তার। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই ধরনের একটি ঘটনা আগেও ঘটেছিল। ২০২৩ সালে, চার বছর বয়সি এক শিশু চুম্বকের পুঁতি দিয়ে তৈরি একটি ব্রেসলেট গিলে ফেলেছিল। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হয়েছিল যে সে অ্যাপেন্ডিসাইটিসে ভুগছে। পরে তাঁর পেটের ভিতরে আটকে থাকা পুঁতিগুলি শনাক্ত করেছিলেন চিকিৎসকেরা।

Advertisement
আরও পড়ুন