সিকিমের প্রবেশপথ রংপো থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের কোলে ছোট্ট গ্রাম নামথাং। অপূর্ব সুন্দর এই জায়গাটিতে এখনও সে ভাবে পা পড়েনি পর্যটকদের। তাই নামথাংকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি দিতে শুক্রবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন নামথাং ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কমিটি। এই সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন ট্র্যাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের যুগ্ম সম্পাদক শমীক ভট্টাচার্য, নামথাং ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কমিটির সম্পাদক দেবস তামাং এবং ওই কমিটির সদস্য জিয়ম লেপচা।
তাঁরা জানান, বার্ষিক প্রায় দশ লক্ষ পর্যটক সিকিমে আসেন, কিন্তু তাঁরা অনেকেই নামথাং-এর ব্যাপারে জানেন না। নামথাং-এর অবস্থান দক্ষিণ সিকিম। এখানে ভুটিয়া, লেপচা এবং নেপালী— এই তিন ধরনের জনজাতিই মিলেমিশে বসবাস করেন। ফলে সুন্দর এক মিশ্র সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে ছবির মতো সুন্দর এই গ্রামটি ঘিরে। গ্রামটির অন্যতম আকর্ষণ জৈব চাষ। এখানে যে সব শস্য উৎপাদিত হয় তার কোনওটির ক্ষেত্রেই রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয় না।
এখানে ট্রেকিং রুট ছাড়াও রিভার রাফটিং, প্যারাগ্লাইডিং করার সুযোগ পাবেন পর্যটকেরা। তবে নামথাং-এর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ‘নাগি পোখারি’ উৎসব। প্রতি বছর ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি, এই তিন দিন ধরে উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়। সিকিমের আঞ্চলিক সংস্কৃতির অপূর্ব নিদর্শন এই নাগি পোখারি উৎসব। নামথাং ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কমিটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এখানে ঘুরতে আসার খরচও খুবই কম।