গ্র্যান্ড প্যালেস
প্রথম দিন
বিদেশ যাওয়ার ইচ্ছে বহু দিনের। পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার পর তাই আর দেরি করিনি। গত নভেম্বরের এক রাতে বেঙ্গালুরু থেকে রওনা হলাম তাইল্যান্ড এর উদ্দেশে। বিমানে উঠেই ঘড়ির কাঁটা তাইল্যান্ডের সঙ্গে মিলিয়ে দেড় ঘণ্টা এগিয়ে নিলাম। প্রথম বারের বিদেশ যাত্রা, উত্তেজনা তাই একটু বেশিই।
সকাল সওয়া ন’টা নাগাদ সুবর্ণভূমি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলাম। অভিবাসন প্রক্রিয়া শেষে পাটায়াগামী বাসের টিকিট কাটলাম। বাসে পাটায়া যেতে সময় লাগে ঘণ্টা দুয়েক।
সন্ধের শোয়ে আলকাজার-এর টিকিট কাটা ছিল। এখানে যাতায়াতের জন্য ভাট বাস ব্যবহার করাই ভাল। টুকটুকের থেকে একটু বড় মাপের হয় এই বাস— যে যার গন্তব্যস্থলে পৌঁছে বেল বাজাও, টাকা দাও, নেমে পড়।
হোটেল থেকে বেরিয়ে হাঁটতে হাঁটতে থার্ড রোডের উপরের দোকানগুলোতে চোখ বোলানো গেল। পোশাক থেকে হরেক রকমের খাবারদাবার, ম্যাসাজ পার্লার— সব নিয়ে এক জাঁকজমক বাজার ওয়াকিং স্ট্রিটের দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। বিকেলের দিকে বাসে চেপে পৌঁছলাম আলকাজার থিয়েটারের সামনে। শো শুরু হওয়ার আগে শিল্পীদের সঙ্গে ছবি তোলা যায়। তবে ভাটের বিনিময়ে। নরম পানীয় এবং জলের বোতলের দাম টিকিটের ভেতরেই ধরা থাকে। দেড় ঘণ্টার এই শো আসলে ভারত, তাইল্যান্ড, চিন, জাপান, কম্বোডিয়া, কোরিয়া, আরব— বিভিন্ন দেশের গানের উপর ভিত্তি করে নৃত্যানুষ্ঠান।
আলকাজার থিয়েটার
আয়ুথায়া
পেশায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক। বিবাহসূত্রে বর্তমানে বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। সময় পেলেই সুদূরের ডাকে সাড়া দিতে মন চায়। এ ছাড়া রান্নাবান্না ও ট্রেকিং অন্যতম প্যাশন।