রকমারি ট্রলির মধ্যে রং নিয়েও ভাবা দরকার। কেন জানেন? ছবি:ফ্রিপিক।
একে তাড়াহুড়ো, তার উপর বিমানবন্দরে লাগেজ আসার কনভেয়ার বেল্টে দীর্ঘ লাইন। হঠাৎ করে চেনা ট্রলিটা দেখে ঝট করে সেটি তুলে ক্যাব ধরার জন্য পা বাড়ালেন তিনি। গাড়িতে লাগেজ তুলতে গিয়েই বুঝতে পারলেন, ট্রলিটা অনেকটা তাঁর ট্রলির মতো হলেও, এটি সেটি নয়।
এমন গোলমাল কিন্তু অনেকের জীবনেই ঘটেছে। বিমানবন্দরে লাগেজ নিতে গিয়ে একই রকম এবং একই রঙের লাগেজের ভিড়ে নিজের কোনটি, সে নিয়ে ধন্দে পড়ে যাওয়া বা ট্রেনে ভ্রমণেও একই রকম ব্যাগ অন্যের হাতে দেখে থতমত খেয়ে যাওয়া নতুন নয়।
সমস্যা সমাধানের উপায়?
সে কারণে ট্রলিতে মান, সুবিধা দেখার পাশাপাশি নজর দেওয়া দরকার রঙেও, পরামর্শ আমেরিকার ভ্রমণবিদ জামি ফ্রেজ়ারের। তার কারণ, হল কিছু রং ভীষণ সাধারণ। যেগুলি কেনার প্রবণতা বেশি লক্ষ করা যায়। যেমন আমেরিকায় ‘এমিনেন্ট’-এর একটি সমীক্ষা বলছে, সে দেশে ৪০ শতাংশ মানুষই শক্তপোক্ত ঢাকা যুক্ত কালো রঙের স্যুটকেস কিনছেন। ফলে এই রঙের স্যুটকেস তাড়াহুড়োয় গুলিয়ে ফেলার সম্ভবনা বেশি।
তা হলে কোন রং?
জামি বলছেন, ‘‘রঙচঙে বা একটু ভিন্ন নকশার লাগেজ, স্যুটকেস বেছে নিলেই এ ধরনের ঝঞ্ঝাট এড়ানো সম্ভব।’’
সহজ লাগেজ চেনার আর কোন উপায়?
১. পছন্দের রং যদি খুব সাধারণ হয়, যা মিশে যাওয়ার সম্ভবনা বেশি যেমন মেরুন, নীল, কালো—সে ক্ষেত্রে প্রিন্টেড বা অন্য রঙের ঢাকনা ট্রলির জন্য বানিয়ে ফেলতে পারেন। ঢাকা তৈরির সময় এমন কোনও চিহ্ন ব্যবহার করতে পারেন, যা দূর থেকে চোখে পড়বে।
২. একই ধরনের ট্রলি, স্যুটকেসের মধ্যে থেকে নিজেরটিকে দ্রুত চিনে নিতে হলে, হাতলে বেঁধে দিতে পারেন ফিতে, কোন উজ্জ্বল রঙের উড়নি বা এমন কিছু যা চট করে দৃষ্টিগোচর হয়।
৩. আঁকাআকির শখ থাকলে ট্রলিতে বা ব্যাগে নিজের মনের মতো করে আঁকিবুকি কাটতে পারেন। এতে যেমন ব্যাগ বা ট্রলির সৌন্দর্য বাড়বে, তেমনই অসংখ্য জিনিসপত্রে ভিড়ে মিশে যাওয়ার ঝুঁকিও কমবে। আবার পছন্দের রঙের সঙ্গে আপোস করতেও হবে না।
৪. রঙিন বেল্টও ব্যবহার করতে পারেন। স্যুটকেস বা ট্রলিতে ব্যবহারের জন্য রঙিন লাগেজ বেল্ট পাওয়া যায়। যাতে ক্লিপ থাকে। চট করে আটকানো যায়। আড়াআড়ি, লম্বালম্বি— যে ভাবে ইচ্ছা এগুলি ব্যবহার করতে পারেন। তবে যদি বিশেষ কায়দায় বা একটু ভিন্ন ভাবে বেল্ট আটকে দেন, তা হলে দূর থেকেই সেটি আলাদা ভাবে চোখে পড়তে পারে।