Love for Environment

পরিবেশ ভালবেসে কর্পোরেট সংস্থার চাকরি থেকে ইস্তফা! মানালি থেকে শ্রীনগরের লম্বা প‌থ ট্রেক করলেন দম্পতি

পরিধি ও নিখিল, মধ্যপ্রদেশের এক দম্পতি পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে মানালি থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত ৩,২০০ কিলোমিটার পথ ট্রেক করেছেন। কতটা কঠিন ছিল সেই যাত্রাপথ?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:০০
পরিবেশের প্রতি প্রেম বোধহয় একেই কয়!

পরিবেশের প্রতি প্রেম বোধহয় একেই কয়! ছবি: সংগৃহীত

পরিবেশের প্রতি প্রেম একেই বলে! মধ্যপ্রদেশের এক দম্পতি পরিবেশ সংরক্ষণ সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে চাকরি ছেড়ে মানালি থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত ৩,২০০ কিলোমিটার পথ ট্রেক করেছেন।

২৭ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার সন্ধেবেলায় পরিধি ও নিখিল শ্রীনগরের লাল চকে পৌঁছান। চাকরি করে পরিবেশ রক্ষার কাজ সম্ভব হচ্ছিল না। তাই গত বছর জুলাই মাসে এই দম্পতি মোটা মাইনের কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে দিয়ে ৩,২০০ কিলোমিটার পথের যাত্রা শুরু করেন। যদিও লাদাখের প্রচণ্ড ঠান্ডার জন্য এবং পারিবারিক কারণে তাঁরা নভেম্বর মাস থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এই যাত্রায় বিরতি নেন। এই বছর মার্চ মাস থেকে ফের শুরু হয় তাঁদের যাত্রা।

Advertisement

লাদাখের মধ্য দিয়ে মানালি থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত গোটা পথটাই পায়ে হেঁটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওই দম্পতি। তাঁদের মূল উদ্দেশ্য ছিল লাদাখের প্রকৃতিকে কাছ থেকে উপভোগ করা, এবং এই অঞ্চলে পরিবেশের কোনও ক্ষতি হচ্ছে কি না, সেই দিকেও নজর রাখা।

এই দম্পতি তাঁদের এই যাত্রাকে জীবনের সবচেয়ে সুন্দর গল্প হিসাবে বর্ণনা করেছেন। এই যাত্রা তাঁদের কাছে অভিযানের সমান। পরিধি বলেন, ‘‘আমরা প্রায় ৩,২০০ কিমি ট্রেক করে ১৯টি পাহাড় পেরিয়ে লাল চকে পৌঁছেছিলাম। পরিবেশ এবং বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোই ছিল আমাদের যাত্রার মূল উদ্দেশ্য।’’

কেমন ছিল তাঁদের যাত্রাপথ?

পরিধি বলেন, ‘‘আমরা একটি বাসে করে মানালি পৌঁছেছিলাম এবং সেখান থেকে হাঁটতে শুরু করি। মানালির পাঁচটি উপত্যকা পেরিয়ে লেহ পৌঁছাই। লেহ থেকে হাঁটতে হাঁটতে খালসার, সিয়াচেন, হুন্ডার এবং তুর্তুক সবটাই দেখে ফেলি। এই যাত্রাপথে সৌভাগ্যবশত আমরা চিতাবাঘেরও সম্মুখীন হই।’’

লাদাখের গ্রামে গ্রামে ঘুরে এই দম্পতি মানুষের মধ্যে পরিবেশ সংক্রান্ত সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করেন। এই যাত্রাপথে দম্পতির সঙ্গী ছিল প্রচুর ময়লা ফেলার ব্যাগ! যাত্রাপথে আবর্জনা দেখলেই সেইগুলি তুলে যথার্থ স্থানে ফেলেছেন তাঁরা। প্রতিটি গ্রাম ছাড়ার আগে সেখানে বৃক্ষরোপণ করেছেন পরিধি-নিখিল। এতটা পথ পায়ে হেঁটে চলা মোটেই সহজ কাজ নয়। এর জন্য দম্পতি বিশেষ‌ শরীরচর্চার অভ্যাসও করেন।

আরও পড়ুন
Advertisement