Traveling

পুজোয় ঘুরতে যাবেন? ঘরের কাছেই আছে ‘মলদ্বীপ’-এর নীল জলরাশি, পাহাড়ঘেরা বাঁধ?

অনেকেই পুজোর এই অল্প ক’টা দিনের ছুটিতে কলকাতা ছেড়ে কোথাও যেতে চান না। আবার অনেকেই পুজোর ভিড়ে সকলের সঙ্গে পা মেলাতে চান না। ভাবছেন শহর ছেড়ে কাছে পিঠে কোথাও ঘুরে এলে কেমন হয়?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:৩০
শহর ছেড়ে কাছে পিঠে কোথাও ঘুরে এলে কেমন হয়?

শহর ছেড়ে কাছে পিঠে কোথাও ঘুরে এলে কেমন হয়? ছবি- সংগৃহীত

পুজো আসছে আসছে এই অনুভূতিটাই বাঙালির কাছে একটা আবেগ। দুটো বছর কঠিন সময় পেরিয়ে, এই বছর পুজো ফিরে পেয়েছে তার পুরনো আমেজ। তাই অন্যান্য বারের চেয়ে অনেকের পরিকল্পনা এ বছর অনেকটাই বেশি। অনেকেই পুজোর এই অল্প কটাদিনের ছুটিতে কলকাতা ছেড়ে কোথাও যেতে চান না। আবার অনেকেই পুজের ভিড়ে সকলের সঙ্গে পা মেলাতে চান না। ভাবছেন শহর ছেড়ে কাছে পিঠে কোথাও ঘুরে এলে কেমন হয়?

Advertisement

১) বেলুন গ্রামের জলবাড়ি

কংক্রিটের মধ্যে দশটা-পাঁচটার জীবন ছেড়ে প্রকৃতি ও প্রাণীদের সঙ্গে খানিক সময় কাটাতে চাইলে চলে আসতেই পারেন কেতুগ্রামের বেলুনে। এমনিতে আর পাঁচটা গ্রামের সঙ্গে এর কোনও পার্থক্য নেই। তবে এই গ্রামের ‘জলবাড়ি’তে ঢুকলে মনে হবে হয়তো অন্য প্রকৃতির কোলে এসে পড়েছেন। যে প্রকৃতি ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। শিবাই নদীর তীরে অবস্থিত এই রিসর্টে কাটিয়ে যেতে পারেন পুজোর কটাদিন।

কীভাবে যাবেন—

হাওড়া এবং শিয়ালদাহ থেকে ট্রেনে পৌঁছে যাওয়া যায় শিবলুন স্টেশন। তবে এই রিসর্টে পৌঁছতে গেলে আলাদা করে আবার গাড়ি ভাড়া করতে হবে। সে ক্ষেত্রে নিজস্ব গাড়ি থাকলে সুবিধা হবে। মাত্র সাড়ে চার ঘণ্টায় পানাগড় জাতীয় সড়ক ধরে পৌঁছে যাওয়া যায় বেলুন জলবাড়িতে।

কী করবেন—

এখানে এলে শুধু জলবাড়িতে সময় কাটাতে হবে এমন নয়। চলে যেতে পারেন বেলুন থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে শাঁখাই-এ। যেতে পারেন নতুনগ্রামে গঙ্গার ডলফিন, ঘড়িয়াল, গাঙ্গেয় হাঙর, মিষ্টি জলের শংকর মাছ দেখতে। এখান থেকেই নানা জায়গায় যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। রাতে দেখতে পাওয়া যায় বনবিড়াল, ভোঁদড়দের।

আরও পড়ুন:

২) অনুষ্কা গার্ডেন রিসর্ট

সাধ থাকলেও অনেকেরই সঙ্গীর সঙ্গে মলদ্বীপের নীল জলে ভেসে ভেসে প্রাতঃরাশ খাওয়ার সাধ্য থাকে না। এ বার স্বল্প খরচেই আপনার সাধ পূর্ণ হবে। কলকাতা থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে অনুষ্কা গার্ডেন রিসর্ট। গাড়িতে কলকাতা থেকে ডানকুনি, সিঙ্গুর হয়ে মাত্র দু’ঘণ্টায় পৌঁছে যাওয়া যায় দাদপুরের এই রিসর্টে।

৩) খয়রাবেড়া ইকো রিসর্ট

পুরুলিয়া বললেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে পলাশরাঙা দিগন্ত। অনেকেরই ধারণা শুধু বর্ষাকাল বা শীতকালই বোধহয় পুরুলিয়া ঘুরতে যাওয়ার আদর্শ সময়। তবে পুজোর পর থেকেই যেহেতু ঠান্ডার আমেজ আসতে শুরু করে, তাই পুজোর কটাদিন কাটিয়ে এলে মন্দ লাগবে না। পুরুলিয়া থেকে মাত্র ৬৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত খয়েরাবেড়া ড্যাম। এই ড্যামের গা ঘেঁষেই রয়েছে এই রিসর্ট। গাড়িতে কলকাতা থেকে পুরুলিয়া যেতেই লেগে যায় ১০ ঘণ্টা। এ ক্ষেত্রে হাওড়া থেকে ট্রেনে পুরুলিয়া পৌঁছে, তার পর গাড়িতে খয়রাবেড়া যাওয়াই ভাল।

আরও পড়ুন
Advertisement