গরমের ছুটিতে বেড়িয়ে পড়ুন নতুন কোনও ঠিকানায়। ছবি: সংগৃহীত।
কিছু দিনের অপেক্ষা। গরমের ছুটি পড়ল বলে। এখনও পুরোদমে গরম না পড়লেও অস্বস্তি কিন্তু আছে। মাঝেমধ্যে বৃষ্টি উঁকি মারলেও, তাতে যে খুব লাভ হচ্ছে তেমন নয়। বাড়ি থেকে বেরোলেই ঘেমেনেয়ে একাকার অবস্থা। তার উপর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এ বছর নাকি সবচেয়ে বেশি গরম পড়বে। ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বাড়াতে না চাইলে ছুটি পড়তেই বেরিয়ে পড়ুন ঘুরতে।
গরমে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার কথা উঠলেই বাঙালির প্রথমেই মনে পড়ে দার্জিলিং কিংবা গ্যাংটকের কথা। তবে গরমে এই জায়গাগুলিতে ভিড় বেশি থাকে। শহুরে কোলাহল থেকে ছুটি নিয়ে আবার ভিড়ে মিশে গেলে খুব যে স্বস্তি পাবেন, তা নয়। তার চেয়ে একটু বাজেট বাড়িয়ে চলে যেতে পারেন নতুন কোনও জায়গায়। রইল তেমন কয়েকটি জায়গার হদিস।
সোলং ভ্যালি
হিমাচল মানেই সিমলা, কুলু, মানালি নয়। মানালি থেকে লেহ-মানালি হাইওয়ে ধরে রোটাং পাস যাওয়ার পথে ১৪ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে সোলাং ভ্যালি। হিমাচলপ্রদেশের আকর্ষণীয় জায়গাগুলির মধ্যে অন্যতম। সমুদ্রতল থেকে ৮ হাজার ৪০০ ফুট উঁচুতে এর অবস্থান। রোটাং পাস খোলা থাক বা না থাক, ফেরাবে না সোলাং ভ্যালি। সব সময়ে জমজমাট থাকে এই উপত্যকা। কুলু জেলার সোলাং ভ্যালি অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের স্বর্গরাজ্য। পাহাড়ের চূড়া ছুঁয়ে ঘন জঙ্গলের মাথার উপর দিয়ে প্যারাগ্লাইডিং করে ডানা মেলে পাখির মতো ওড়ার মজাই আলাদা! এ ছাড়াও রয়েছে ট্রেকিং, ক্যাম্পিং করার সুযোগ।
গুলমার্গ
এপ্রিল-মে মাসে গুলমার্গ মন্ত্রমুগ্ধ করে দিতে পারে আপনাকে। হিমালয়ের পশ্চিমাংশের পীর পাঞ্জাল পর্বতশ্রেণির কাছে অবস্থিত গুলমার্গে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা মাঝেমাঝেই থাকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ডিসেম্বরের পর থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। এই অঞ্চলে বরফের মধ্যে স্কিয়িং করার ভরপুর আনন্দ আপনার অভিজ্ঞতা স্মরণীয় করে রাখতে পারে।
আলমোড়া
উত্তরাখণ্ডের একটি সেনা ছাউনিপ্রধান শহর আলমোড়া। স্থানীয়রা বলেন, এই অঞ্চল থেকে নাকি শীতকালে তুষারাবৃত হিমালয়ের অনন্য এক রূপ দেখা যায়। পাইন এবং ওক গাছ দিয়ে ঘেরা এই শহর সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের জন্য বিখ্যাত। চিতোই এবং নন্দাদেবীর মতো মন্দিরগুলি আলমোড়ার বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র।
কুর্গ
পশ্চিমঘাট পর্বতের ঢালে কোদাগু জেলায় পাহাড়ঘেরা জায়গার নাম কুর্গ। সবুজের আধিক্য এবং কাবিনী নদী কুলুকুল শব্দে ভরে যাবে মন। ইদানীং ঘুরতে যাওয়ার জায়গা বাছতে গিয়ে বাঙালি কর্নাটকের এই মনোরম জায়গাটি পছন্দ করছেন। উঁচু-নিচু পাহাড়, আঁকাবাঁকা পথ, বিরামহীন ছোট ছোট ঝর্না, একরের পর একর জমিতে কফি চাষ— শহুরে কোলাহলের বাইরে যেন এক টুকরো স্বর্গ। মিলবে রিভার রাফটিং, জ়িপলিং, ট্রেকিং ও কায়াকিংয়ের সুযোগ।