Jannik Sinner

ডোপ-বিতর্কে সিনার, ইউএস ওপেনের আগে প্রশিক্ষক, ফিজিয়োকে সরালেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা

ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে বিতর্কে ইয়ানিক সিনার। তার পরেও ইউএস ওপেনে খেলতে বাধা নেই তাঁর। কিন্তু তার আগে নিজের প্রশিক্ষক ও ফিজিয়োথেরাপিস্টকে সরিয়ে দিলেন বিশ্বের এক নম্বর।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০২৪ ১৭:২০
sports

ইয়ানিক সিনার। —ফাইল চিত্র।

ইউএস ওপেনের আগে বিতর্কে ইয়ানিক সিনার। ডোপ পরীক্ষায় দু’বার ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। যদিও তার পরেও ইউএস ওপেন খেলতে সমস্যা নেই তাঁর। কিন্তু প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগে নিজের প্রশিক্ষক ও ফিজিয়োথেরাপিস্টকে সরিয়ে দিলেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা।

Advertisement

সিনারের প্রশিক্ষক ছিলেন উমবের্তো ফেরারা। ফিজিয়োথেরাপিস্টের দায়িত্বে ছিলেন জিয়াকোমো নালদি। ইউএস ওপেন শুরু হওয়ার আগে এই সিদ্ধান্ত সহজ ছিল না। কিন্তু সিনার হয়তো বিতর্ক কমাতে চাইছেন। সেই কারণে দু’জনকে সরিয়ে দিয়েছেন তিনি।

মার্চে ইন্ডিয়ান ওয়েলস প্রতিযোগিতায় খেলার সময় সিনারের শরীরে ক্লোস্টেবল নামে একটি পদার্থ পাওয়া গিয়েছিল। টেনিস তারকার টেস্টস্টেরনে ওই পদার্থ ছিল। বিশ্ব অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (ওয়াডা) ক্লোস্টেবল পদার্থটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক টেনিস ইন্টিগ্রিটি এজেন্সি (আইটিআইএ) সিনারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তারা জানিয়েছে, ইটালির টেনিস তারকা ইচ্ছাকৃত ভাবে ডোপিং করেননি। তাঁর ফিজিয়োথেরাপিস্ট না জেনে কোনও একটি ওষুধ দিয়েছিলেন, সেটার মধ্যে ক্লোস্টেবল ছিল। সেই কারণেই হয়তো ফিজিয়োথেরাপিস্টকে সরিয়ে দিয়েছেন সিনার।

এই বিতর্কে সিনার পাশে পেয়েছেন তাঁর কোচকে। সিনারের শরীরে ওই পদার্থ নাকি ঢুকেছে মালিশ করার স্প্রের মধ্যে দিয়ে। কোচ ড্যারেন কাহিল বলেন, “সিনার বুঝতে পেরেছিল কী ভাবে ওর শরীরে ওই নিষিদ্ধ পদার্থ ঢুকেছে। সেই কারণে পাঁচ মিনিটের মধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। সব নিয়ম মানা হয়েছিল বলেই সাময়িক নির্বাসন উঠে গিয়েছে।”

২০২২ সালের ইউএস ওপেনের সময় ডোপ করার জন্য নির্বাসিত হয়েছিলেন সিমোনা হালেপ। তাঁকে চার বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছিল। পরে তা কমিয়ে ন’মাসের করা হয়। এর পরেই সিনারের ছাড় পাওয়ার ঘটনা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। কাহিল বলেন, “দুটো ঘটনা আলাদা। যদিও পুরো বিষয়টা সম্পর্কে আমি খুব ভাল করে জানি না। কিন্তু হালেপ বুঝতেই পারেনি ওর শরীরে কী ভাবে নিষিদ্ধ পদার্থ ঢুকেছিল। সেটা বুঝতে সময় লেগে যায়। কিন্তু সিনারের বিষয়টা আলাদা।”

সিনারের কোচের দাবি, হালেপের ক্ষেত্রে সময় বেশি লেগেছিল বলে ওরা দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারেনি। সেই কারণেই হালেপকে নির্বাসিত করা হয়েছিল। যদিও কাহিল স্বীকার করে নিয়েছেন যে, তিনি হালেপের পুরো বিষয়টা জানেন না।

১৫ অগস্ট সিনারের ডোপিং নিয়ে শুনানি ছিল। সেখানে টেনিস খেলোয়াড় বুঝিয়েছেন, তাঁর এক ফিজিয়ো মালিশ করার সময় একটি স্প্রে ব্যবহার করেছিলেন। একটি চোট সারানোর জন্য ওই স্প্রে ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই স্প্রের মধ্যে ক্লোস্টেবল ছিল। সেটাই সিনারের শরীরে ঢুকে যায়। সিনারের সেই দাবি মেনে নেয় আইটিআইএ। সেই কারণে তাঁকে কোনও শাস্তি দেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন
Advertisement