—প্রতীকী চিত্র।
ম্যাচ না হেরে, চোট না পেয়েও ফরাসি ওপেন থেকে ছিটকে গেল কাতো এবং আলদিলা সুতজিয়াদির জুটি। রবিবার মহিলাদের ডাবলসের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন তাঁরা। ম্যাচ চলাকালীন একটি অনভিপ্রেত এবং অনিচ্ছাকৃত ঘটনা প্রতিযোগিতা থেকেই ছিটকে দিল তাঁদের।
মেরি বোজ়কোভা-সারা সোরিবেস জুটির বিরুদ্ধে ম্যাচের দ্বিতীয় সেটে এগিয়ে ছিল জাপান এবং ইন্দোনেশিয়ার মহিলা জুটি। খেলার ফল যখন কাতো-সুতজিয়াদি জুটির পক্ষে ৬-৭, ৩-১, তখন ঘটে ঘটনাটি। পরের গেমে সার্ভিস ছিল কাতোর। এক বল গার্লের কাছ থেকে কয়েকটি বল নিয়ে পরীক্ষা করছিলেন তিনি। যেমন সার্ভিস করার আগে টেনিস খেলোয়াড়রা করে থাকেন। একটি বল পছন্দ না হওয়ায় র্যাকেট দিয়ে কোর্টের উল্টো দিকের কোণে দাঁড়িয়ে থাকা বল গার্লের দিকে পাঠিয়ে দেন। র্যাকেট দিয়ে বলটি মারার সময় তিনি খেয়াল করেননি, খেলা বন্ধ থাকায় বল গার্ল কিছুটা এগিয়ে এসেছিল। কাতোর শট গিয়ে সরাসরি লাগে উল্টো দিকের কোণে থাকা সেই বল গার্লের মাথায়। সঙ্গে সঙ্গে সে কেঁদে ফেলে। যদিও তার বড় আঘাত লাগেনি। কিন্তু প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী বল গার্লকে আঘাত করার অপরাধে কাতো-সুতজিয়াদি জুটিকে ম্যাচ এবং প্রতিযোগিতা থেকে বহিষ্কার করেন চেয়ার আম্পায়ার। অপ্রত্যাশিত এই ঘটনার পর চেয়ার আম্পায়ারের কাছে গিয়ে ক্ষমা চান কাতো। সে সময় তাঁর চোখেও জল দেখা যায়। সব কিছু খতিয়ে দেখার পর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেননি চেয়ার আম্পায়ার।
One of the Japanese players hit a ballboy with a ball. She started crying, supervisor came and took the decision. https://t.co/KeNSayTYkZ pic.twitter.com/38Z9h4dKNi
— Santi (@lobguruza) June 4, 2023
২০২০ সালে এ ভাবেই ইউএস ওপেন থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন নোভাক জোকোভিচ। তিনি অনিচ্ছাকৃত ভাবে বল দিয়ে আঘাত করেছিলেন এক মহিলা লাইন-জাজকে। ২০০৭ সালে মাদ্রিদ ওপেনেও জোকার এক বল গার্লকে অনিচ্ছাকৃত ভাবে বল দিয়ে আঘাত করেছিলেন। সে বার সঙ্গে সঙ্গে তার কাছে ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরে দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন ২২টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক।