ভারতের নীরজ চোপড়ার সঙ্গে পাকিস্তানের আরশাদ নাদিম। ছবি: পিটিআই।
বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে ইতিহাস গড়েছেন নীরজ চোপড়া। দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছেন পাকিস্তানের আরশাদ নাদিম। ফাইনালে তাঁদের মধ্যে ব্যবধান খুব বেশি ছিল না। আরশাদকে হারিয়ে নীরজের জয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল অলিম্পিক্সে সোনাজয়ীর মা সরোজ দেবীকে। তাতে নীরজের মা বলেন যে, খেলার মাঠে দেশ দেখা হয় না।
ভারত এবং পাকিস্তানের দুই জ্যাভলিন থ্রোয়ারের মধ্যে লড়াই অলিম্পিক্স থেকেই দেখা যাচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত নীরজকে হারাতে পারেননি আরশাদ। সরোজ দেবীকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল পাকিস্তানের আরশাদকে হারানো কত বড় সাফল্য? উত্তরে নীরজের মা বলেন, “মাঠে সকলেই সমান। কেউ না কেউ তো জিতবেই। সে পাকিস্তানের না হরিয়ানার শ্বেতা বড় ব্যাপার নয়। পাকিস্তানের যে খেলোয়াড় রুপো পেয়েছে, আমি তার জন্যেও খুশি।”
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও দেখা গিয়েছিল সোনা জয়ের পর আরশাদকে পাশে নিয়ে ছবি তুলছিলেন নীরজ। পাকিস্তানের খেলোয়াড়টি দেশের পতাকা পাননি উৎসব করার জন্য। নীরজ ভারতের পতাকা কাঁধে নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর পাশে এসে ছবি তোলেন আরশাদ। নীরজ নিজেও জানিয়েছিলেন যে, আরশাদ রুপো জেতায় তিনি খুশি। অলিম্পিক্স, কমনওয়েলথের পর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপেও সোনাজয়ী বলেন, “আরশাদ ভাল থ্রো করায় আমি খুশি। আমরা দু’জনে আলোচনা করছিলাম যে, দুই দেশের খেলোয়াড়েরা কী ভাবে উন্নতি করছে। বিশ্ব মঞ্চে জায়গা করে নিচ্ছে। আগে এই সব প্রতিযোগিতায় ইউরোপের খেলোয়াড়দের প্রাধান্য দেখা যেত, এখন আমরা সেই জায়গা নিয়ে নিয়েছি।”
বুদাপেস্টে ৮৮.১৭ মিটার ছুড়ে সোনা জিতেছেন নীরজ। ছেলের কৃতিত্ব নিয়ে সংবাদমাধ্যমে নীরজের বাবা সতীশ বলেন, ‘‘নীরজের সোনা জয় নিয়ে আমরা নিশ্চিত ছিলাম। খেলায় আগে থেকে কিছু বলা যায় না ঠিকই, কিন্তু আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। সেই একই আত্মবিশ্বাস নীরজের চোখেমুখেও দেখা যাচ্ছিল। বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সে আমাদের দেশ প্রথম সোনা জিতেছে। এটা আমাদের জন্য গর্বের মুহূর্ত।’’