উইকেট নিয়ে উল্লাস রাসেলের। ছবি: আইপিএল
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ‘ডাবল’ করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। অর্থাৎ চলতি মরসুমে দু’বারই মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে জিতল তারা। এ বারের আইপিএলে প্রথম দল হিসাবে প্লে-অফে উঠে গেল কেকেআর। ঘরের মাঠে সাতটির মধ্যে পাঁচটি ম্যাচে জিতল তারা। রবিবার যে তিন ক্রিকেটার ম্যাচ জেতাতে সাহায্য করলেন, তাঁদের খুঁজে বার করল আনন্দবাজার অনলাইন।
বেঙ্কটেশ আয়ার
অন্যান্য ম্যাচে কেকেআরের দুই ওপেনার এতটাই ঝোড়ো ভঙ্গিতে শুরু করেন যে পরের দিকের ব্যাটারদের কাজ সহজ হয়ে যায়। রবিবার দিনটা অন্যরকম ছিল। ফিল সল্ট এবং সুনীল নারাইন দু’জনেই দ্রুত ফিরে যান। বেগতিক দেখে চারে নামিয়ে দেওয়া হয় বেঙ্কটেশ আয়ারকে। সেই দায়িত্ব ভাল ভাবেই সামলালেন বেঙ্কটেশ। ২১ বলে ৪২ রান করেন তিনি। ৬টি চার এবং ২টি ছয় মারেন। কম ওভারের ম্যাচ হওয়ায় ধরে খেলার সুযোগ ছিল না। চালিয়ে খেলে সেই মুহূর্তে দলকে ভাল জায়গায় দাঁড় করিয়ে দেন তিনি।
আন্দ্রে রাসেল
ব্যাটে-বলে দু’ভাবে অবদান রাখলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ক্রিকেটার। প্রথমে ব্যাট হাতে ২টি চার এবং ২টি ছয়ের সাহায্যে ১৪ বলে ২৪ করলেন। তবে আসল কাজটা করলেন বল হাতে। প্রথম ওভারেই তুলে নিলেন সূর্যকুমার যাদবকে। দ্বিতীয় ওভারে ফেরালেন টিম ডেভিডকেও। মুম্বইয়ের দুই ম্যাচ জেতানো ক্রিকেটারকে ফেরানোর কৃতিত্ব তাঁকে দিতেই হবে। শেষ ওভারে রান দিলেও রাসেলের অবদান এই জয়ে কোনও অংশে কম নেই।
বরুণ চক্রবর্তী
নিঃসন্দেহে এ দিন কেকেআরের সেরা বোলার। কাকে দিয়ে চার ওভার করানো হবে, তা নিয়ে ম্যাচের আগে থেকে চর্চা ছিল। বরুণকে দিয়ে চার ওভার বল করানো একদম ঠিক সিদ্ধান্ত। শুধু থেকে ঘূর্ণি পাচ্ছিলেন। গুগ্লি, গতির হেরফেরে বলে বৈচিত্র এনে বিপদে ফেলছিলেন বিপক্ষ ব্যাটারদের। এই ম্যাচেও চার ওভারে মাত্র ১৭ রান দিলেন। তুলে নিলেন রোহিত শর্মা এবং হার্দিক পাণ্ড্যের উইকেট।