সূর্যকুমার যাদব। —ফাইল চিত্র।
স্পোর্টস হার্নিয়া অস্ত্রোপচারের পর ফিটনেস সমস্যার জন্য আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে প্রথম তিনটি ম্যাচ খেলতে পারেননি সূর্যকুমার যাদব। ছিলেন না দলের সঙ্গেও। বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (এনসিএ) রিহ্যাব চলছিল তাঁর। হাতে সময় থাকলেও তখন দলের পুরো খেলা দেখতেন না।
অন্য দলের খেলাই শুধু নয়, নিজের দল মুম্বইয়ের খেলাও পুরো দেখতেন না সূর্যকুমার। খানিকটা দেখেই টেলিভিশন বন্ধ করে দিতেন। ফলাফল জানার আগ্রহও দেখাতেন না। এনসিএতে নিজের ঘরে ঘুমিয়ে পড়তেন। দলের খেলা দেখতেন না কেন আইসিসি ক্রমতালিকায় এক নম্বর ব্যাটার? সূর্যকুমার বলেছেন, ‘‘দলের খেলার সময় ঘরে বসে টেলিভিশন দেখা খুব অস্বস্তির। এটা বলব না যে, আমি খেলাই দেখিনি। সব ম্যাচের অর্ধেকটা মতো দেখেছি। বেঙ্গালুরুতে থাকার সময় রাত ১০.৩০ থেকে ১০.৪৫-এর মধ্যে ঘুমিয়ে পড়তাম। তাই ম্যাচের প্রথমার্ধটাই শুধু দেখা হত আমার। পরের দিন সময় মতো পুরো খেলাটা দেখে নিতাম।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘অন্য জায়গায় থেকে দলের খেলা টেলিভিশনে দেখতে ভাল লাগে না। তবে আইপিএলের খেলাগুলো আমাকে উৎসাহিত এবং অনুপ্রাণিত করত। সবাই খেলছে আর আমি ফিটনেসের জন্য প্রতি দিন কঠোর পরিশ্রম করছি। এটা ভাবলে মাঠে ফেরার তাগিদটা বেড়ে যেত।’’
কেন রাতেই পুরো খেলা দেখতেন না? সূর্যকুমার জানিয়েছেন, দ্রুত মাঠে ফেরার জন্য এনসিএর ফিটনেস ট্রেনারদের সব নির্দেশ মেনে চলার চেষ্টা করতেন। নির্দিষ্ট রুটিন মতো চলার চেষ্টা করতেন। সেই মতোই রাতে শুয়ে পড়তেন। সে সময় স্ত্রী এবং এনসিএ-র ট্রেনারদের সঙ্গে কথা বলতেন হতাশা কাটাতে। সূর্যকুমার বলেছেন, ‘‘সবাই বলত, সূর্যকুমারের দ্বিতীয় সংস্করণ দেখছে। মাঠে ফিরলেই পার্থক্যটা বোঝা যাবে। সেটা মাথায় ঢুকে গিয়েছিল। তাই সময় মতো শুয়ে পড়তাম রাতে। তালিকার বাইরে কোনও খাবার খেতাম না। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। জীবনে কখনও বই পড়িনি তেমন ভাবে। এ বার এনসিএতে গিয়ে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি হয়েছে। বেশ সকালে উঠতাম ঘুম থেকে। রিহ্যাব সেন্টারে প্রতি দিন অনেকটা সময় থাকতাম। মানসিক এবং শারীরিক ভাবে একটা পদ্ধতির মধ্যে নিজেকে রাখতে চেয়েছিলাম।’’ এতটা শৃঙ্খলা মেনে চলার কারণও জানিয়েছেন সূর্যকুমার। তিনি বলেছেন, ‘‘অস্ত্রোপচারের ধাক্কা ছাড়াও দু’তিনটে ছোট চোট ছিল আমার। গোড়ালি, ডান পয়ের হাঁটুতে চোট ছিল। তাই দ্রুত ফিট হওয়ার জন্য নিয়ম মেনে চলতে হত। এক সঙ্গে বেশি কিছু করার চেষ্টা করতাম। একটা পদ্ধতি অনুসরণ করে ফিট হওয়ার চেষ্টা করেছি। সে জন্যই প্রত্যাশিত সময়ের থেকে কিছুটা আগেই সম্পূর্ণ ফিটনেস ফিরে পেয়েছি।’’
এনসিএ থেকে ফিটনেস সংক্রান্ত ছাড়পত্র পাওয়ার পর মুম্বই শিবিরে যোগ দিয়েছেন সূর্যকুমার। গত ৭ এপ্রিল দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ খেলেছেন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে। সেই ম্যাচে রান পাননি। বুধবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে খেলতে পারেন তিনি।