এখনও পর্যন্ত বিসিসিআই বা আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের তরফে কিছু জানানো না হলেও বোর্ড সূত্রে খবর, আইপিএলের সম্প্রচারকারী সংস্থার হিন্দি ভাষার ধারাভাষ্যে দেখা যেতে পারে রায়নাকে। এর আগে তিনি ধারাভাষ্য না করলেও শাস্ত্রীর এই ভূমিকায় অনেক বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
নতুন ভূমিকায় দেখা যেতে পারে শাস্ত্রী, রায়নাকে ফাইল চিত্র।
এ বারের আইপিএলে কোন দল তাঁকে কেনেনি। অবিকৃত থাকার পরে বিদেশের লিগে খেলার অনুমতি চেয়েছিলেন বিসিসিআই-এর কাছে। সেই আবেদনেরও জবাব আসেনি। এ বার হয়তো নতুন ভূমিকায় দেখা যেতে পারে সুরেশ রায়নাকে। আইপিএলে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে রায়নাকে। সেই সঙ্গে পাঁচ বছর পরে ফের ধারাভাষ্যকার হিসাবে ফিরতে পারেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী।
এখনও পর্যন্ত বিসিসিআই বা আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের তরফে কিছু জানানো না হলেও বোর্ড সূত্রে খবর, আইপিএলের সম্প্রচারকারী সংস্থার হিন্দি ভাষার ধারাভাষ্যে দেখা যেতে পারে রায়নাকে। এর আগে তিনি ধারাভাষ্য না করলেও শাস্ত্রীর এই ভূমিকায় অনেক বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ইংরেজি, হিন্দি দু’ভাষাতেই তিনি সমান স্বাচ্ছন্দ্য। ফের এক বার মাইক হাতে দেখা যেতে পারে তাঁকে।
২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম নিলামেই চেন্নাই কেনে রায়নাকে। প্রতি বছর ধারাবাহিক ভাবে রান করেছেন তিনি। ২০০৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত রায়না হলুদ জার্সিতে যথাক্রমে ৪২১, ৪৩৪, ৫২০, ৪৩৮, ৪৪১, ৫৪৮, ৫২৩ ও ৩৭৪ রান করেন। মাঝে সিএসকে নির্বাসিত হলে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে গুজরাত লায়ন্সের অধিনায়ক হন তিনি। ২০১৮ সালে ফের চেন্নাইয়ে ফিরে ৪৪৫ রান করেন রায়না। ২০১৯ সালে ৩৮৩ রান করেন তিনি। সব মিলিয়ে আইপিএল-এ চেন্নাইয়ের হয়ে ৪৬৮৭ রান করেছেন রায়না। তার মধ্যে রয়েছে ১টি শতরান ও ৩৯টি অর্ধশতরান। আইপিএলে তাঁর ধারাবাহিকতার জন্য রায়নাকে ‘মিস্টার আইপিএল’ বলা হয়। যদিও এ বারের নিলামে ব্রাত্যই থেকে গিয়েছেন তিনি।
২০১৭ সালে ভারতীয় দলের কোচ নিযুক্ত হন শাস্ত্রী। ফলে ধারাভাষ্য ছাড়তে হয় তাঁকে। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে টি২০ বিশ্বকাপের পরে কোচের কার্যকাল শেষ হয় তাঁর। তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত মাঠে দেখা যায়নি তাঁকে। ২৬ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে আইপিএল। এ বারের প্রতিযোগিতায় রয়েছে মোট ১০টি দল। বদল হয়েছে প্রতিযোগিতার ফরম্যাটেও।