রবিবারের ম্যাচের আগে বেঙ্গালুরুর নেট রানরেট অনেকটাই কম ছিল। —ফাইল চিত্র
রাজস্থান রয়্যালসকে ১১২ রানে উড়িয়ে দিয়ে আইপিএলের প্লে-অফে ওঠার দৌড়ে টিকে রইল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। বিরাট কোহলিদের দল এখন ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় পঞ্চম স্থানে। রাজস্থানকে নেট রানরেটেও পিছনে ফেলে দিল তারা। ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে রাজস্থান ষষ্ঠ স্থানে। তাদের নেট রানরেট ০.১৪০। বেঙ্গালুরুর নেট রানরেট ০.১৬৬।
রবিবারের ম্যাচের আগে বেঙ্গালুরুর নেট রানরেট অনেকটাই কম ছিল। বড় ব্যবধানে জিতে তা অনেকটাই ভাল করে নিলেন বিরাটরা। ১৬ পয়েন্টে পৌঁছনো সম্ভব বেঙ্গালুরুর। পরের দু’টি ম্যাচও জিততে হবে বিরাটদের। বেঙ্গালুরু ১৬ পয়েন্ট পেলে তাদের লড়াই হবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, লখনউ সুপারজায়ান্টস এবং পঞ্জাব কিংসের সঙ্গে। এই তিন দল নিজেদের বাকি ম্যাচগুলির একটিতে হারলে বেঙ্গালুরুর সুবিধা। যদিও নিজেদের সব ম্যাচ জিততে হবে তাদের। গুজরাত টাইটান্স এবং চেন্নাই সুপার কিংস ইতিমধ্যেই ১৬ এবং ১৫ পয়েন্ট পেয়ে গিয়েছে। একটি করে জয় পেলেই প্লে-অফে ওঠা নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের পক্ষে কোনও ভাবেই ১৬ পয়েন্টে পৌঁছনো সম্ভব নয়। ফলে কেকেআরের প্লে-অফে ওঠা বেশ কঠিন। লিগ টেবিলে চতুর্থ স্থানে থাকা লখনউ সুপার জায়ান্টসের পয়েন্ট ১৩। সেই কারণেই এখনও নীচের দিকে থাকা দলগুলি লড়াইয়ে রয়েছে। লখনউ একটি ম্যাচ জিতলেই ১৪ পয়েন্টে আটকে যাওয়া দলগুলি আশা শেষ হয়ে যাবে। দু’টি ম্যাচ বাকি লখনউয়ের। এর মধ্যে কলকাতার বিরুদ্ধে একটি ম্যাচ রয়েছে। অর্থাৎ দু’টি দলের একটি দলের পক্ষেই সব ম্যাচ জেতা সম্ভব। লখনউয়ের আরও একটি ম্যাচ বাকি মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে। দু’টি দলই এখন প্লে-অফে যাওয়ার লড়াইয়ে রয়েছে। রাজস্থান, পঞ্জাব কিংস, কলকাতা এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদের পক্ষে ১৪ পয়েন্ট পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু প্লে-অফে ওঠার জন্য তা যথেষ্ট না-ও হতে পারে।