বাংলার ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ছবি: পিটিআই।
বাংলার ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে আমন্ত্রণ জানাল এফএসডিএল। শনিবার আইএসএল কাপের ফাইনালে মুখোমুখি মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম বেঙ্গালুরু এফসি। কিন্তু প্রথমে সেই ম্যাচে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি অরূপকে। যে প্রসঙ্গে সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, সেই পোস্টের পরেই মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত চাপ সৃষ্টি করেন এফএসডিএল-এর উপর।
আমন্ত্রণ পেলেও শনিবার অরূপ যুবভারতীতে উপস্থিত থাকবেন কি না জানা যায়নি। অরূপের আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে কুণাল তাঁর দ্বিতীয় পোস্টে লিখেছেন, “যুবভারতীতে আজ অবশেষে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে আমন্ত্রণ করল এফএসডিএল। আমার টুইটের প্রতিবাদের পর। বিষয়টি মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্তকেও তখনই জানাই। সচিব ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। এফএসডিএলের উপর চাপ সৃষ্টি করেন। তারপর তাঁরা আজ দুপুরে ক্রীড়ামন্ত্রীকে ইমেল পাঠিয়ে আমন্ত্রণ করেন। যদিও এই বিলম্বিত আমন্ত্রণ অতীব অন্যায়ের। মোহনবাগান সচিব জানান তাঁর ধারণা ছিল এফএসডিএল আগেই ক্রীড়ামন্ত্রীকে আমন্ত্রণ করেছে। মাননীয় মন্ত্রীকে মোহনবাগান আবার অনুরোধ করছে যুবভারতীতে যাওয়ার জন্য।”
ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে অভিযোগ করে মোহনবাগানের সহ-সভাপতি কুণাল প্রথম পোস্টে লিখেছিলেন, “যুবভারতীতে আজ ফুটবলের মহাযজ্ঞ। এফএসডিএল রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে আমন্ত্রণ করেনি। এটা রাজনৈতিক কারণে, এআইএফএফের বিজেপি সভাপতি কল্যাণ চৌবের অঙ্গুলি হেলনে। বাংলার বুকে ফাইনাল, কেন ক্রীড়ামন্ত্রীকে বলা হবে না? আরেকটি আক্ষেপ, খেলবে ভারতসেরা মোহনবাগান, তাদের তরফেও ক্রীড়ামন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ করা হয়নি। ফলে তিনি মাঠে যাচ্ছেন না। ক্লাব সহসভাপতি হিসেবে এই খবর পেয়ে খারাপ লেগেছে, মন্ত্রীকে দুঃখপ্রকাশ করেছি। ঘরোয়া ফোন আর আনুষ্ঠানিক সসম্মান আমন্ত্রণ এক নয় বুঝি। মন্ত্রীর পদমর্যাদায় তো নয়ই। তাঁর সিদ্ধান্ত বদল হচ্ছে না। সচিবকে জানাচ্ছি। এই আনুষ্ঠানিক সৌজন্যটা ক্লাবের দেখানো উচিত ছিল। যাঁরা আমন্ত্রণ বা টিকিটের বিষয়টি দেখছিলেন, একটা ফাঁক থেকে গিয়েছে।”
কুণাল তৃণমূলের মুখপাত্র। সেই দলের নেতা অরূপ। কুণাল আবার মোহনবাগানের সহ-সভাপতিও। সেই দলের তরফে অরূপকে কেন আমন্ত্রণ জানানো হল না, তা জানা যায়নি। সেই বিষয়ে জানার জন্য আনন্দবাজার ডট কম যোগাযোগ করেছিল মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্তের সঙ্গে। তিনি সেই সময় কথা বলতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন। যদিও মোহনবাগানের একটি সূত্রে খবর, কুণালের পোস্টের পর অরূপকে আমন্ত্রণ জানানোর তোড়জোড় শুরু হয়।
আইএসএল-এর আয়োজক এফএসডিএল। যদিও এটি দেশের এক নম্বর ফুটবল প্রতিযোগিতা। যে কারণে এআইএফএফ এই প্রতিযোগিতার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। সেই এআইএফএফ-এর প্রধান কল্যাণ। যিনি বিজেপি-র হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। জিততে পারেননি। কুণালের অভিযোগ রাজনৈতিক কারণেই অরূপকে প্রথমে আমন্ত্রণ জানায়নি এফএসডিএল। যে সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কল্যাণ রয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছিলেন কুণাল।