—প্রতীকী চিত্র।
দলের ফুটবলার ছেলে না মেয়ে না কি তৃতীয় লিঙ্গের তা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছিল। সুইডেনের মহিলা ফুটবলার নিলা ফিশার জানিয়েছেন ২০১১ সালের বিশ্বকাপের আগে এমনটাই ঘটেছিল তাঁদের দলে। ফিশার একটি বই লিখেছেন। সেখানেই তিনি উল্লেখ করেছেন ২০১১ সালের সেই ঘটনার কথা।
ফিশারের ‘আই ডোন্ট ইভেন সে হাফ অফ ইট’ বইটিতে তিনি জানিয়েছেন যে, তাঁদের নিম্নাঙ্গ দেখে লিঙ্গ নির্ধারণ করা হয়েছিল। এক জন পুরুষ চিকিৎসক ছিলেন তাঁদের দলে। তিনি নিজে মেয়েদের নিম্নাঙ্গ না দেখলেও তাঁর উপস্থিতিতেই দলের মহিলা ফিজিয়ো ফুটবলারদের ঘরে যান। সেখানে ফুটবলারদের প্যান্ট এবং নিম্নাঙ্গের অন্তর্বাস খুলতে বলা হয়। ফিশার তাঁর বইয়ে লেখেন, “আমাদের বলা হয়েছিল নিম্নাঙ্গের চুল না কাটতে। সেই সঙ্গে চিকিৎসক এসে আমাদের দেখবেন বলেও জানানো হয়েছিল। আমরা কেউ বুঝিনি কেন চুল কাটতে পারব না। কিন্তু আমরা সকলেই নিয়ম পালন করেছিলাম। আমাদের মনে হয়েছিল নিশ্চয়ই অন্য কোনও উপায় থাকবে লিঙ্গ নির্ধারণ করার। কিন্তু আমরা বাধ্য হয়েছিলাম নিয়ম মানতে। কী করব? সামনে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ। আমরা চাইছিলাম এই অস্বস্তিকর এবং অপমানকর কাজটা যত তাড়াতাড়ি হয়ে যায়।”
জার্মানিতে ২০১১ সালের বিশ্বকাপের আগে পরীক্ষা করা হয়েছিল সুইডেন দলের সব মহিলা ফুটবলারকে। সে বার এক দেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, তাদের দলে পুরুষ ফুটবলার রয়েছে। নাইজেরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ঘানা এই অভিযোগ করেছিল ইকুয়েটোরিয়াল গিনির বিরুদ্ধে। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফিশার বলেন, “আমি একটা জিনিসই বুঝেছিলাম। আমাকে দ্রুত প্যান্ট এবং অন্তর্বাস একসঙ্গে নামাতে হবে। ফিজিয়ো দেখবেন এবং মাথা নেড়ে ‘হ্যাঁ’ বলবেন। দলের চিকিৎসক তখন দরজার বাইরে আমার ঘরের দিকে পিছন ফিরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। সেই চিকিৎসক খাতায় নোট নেন এবং পাশের ঘরে চলে যান।”
সে বার সুইডেন দলের সকলের সঙ্গে এটা করা হয়েছিল। ফিশার বলেন, “দলের সকলের পরীক্ষা করার পর, বলা ভাল নিম্নাঙ্গ দেখার পর দলের চিকিৎসক জানান যে দলে সকলে মহিলা রয়েছে। দলে খুবই ভাল পরিবেশ ছিল সে বার। সেই জন্যই বোধ হয় এটা করা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু খুবই অস্বাভাবিক একটা ঘটনা ছিল ওটা। সকলেই খুব অস্বস্তির মধ্যে পড়ে গিয়েছিলাম।”
২০১১ সালে মেয়েদের বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার দু’সপ্তাহ আগে ফিফা জানিয়েছিল যে, অংশগ্রহণকারী দলের সকলের লিঙ্গ সঠিক ভাবে নির্ধারণ করতে হবে।