মধ্যমণি গ্রেগ স্টুয়ার্ট। তাঁকে ঘিরেই ফুরফুরে মোহনবাগানের ফুটবলারেরা। ছবি: সমাজমাধ্যম।
আইএসএলের পয়েন্ট তালিকায় বেঙ্গালুরু এফসি-র সঙ্গে সাপ-লুডোর লড়াই চলছে মোহনবাগানের। কোনও দিন সবুজ-মেরুন জিতে শীর্ষে চলে যাচ্ছে। পর দিনই বেঙ্গালুরু শীর্ষস্থান দখল করছে। শনিবার আবার মোহনবাগানের সামনে সুযোগ শীর্ষে ওঠার। সামনে চেন্নাইয়িন এফসি। এই ম্যাচের আগে গ্রেগ স্টুয়ার্টের সুস্থ হয়ে ওঠা মোহনবাগানের কাছে বড় পাওনা। ফিরতে পারেন আশিস রাইও।
চোটের কারণে দীর্ঘ দিন মাঠের বাইরে ছিলেন স্টুয়ার্ট। মোহনবাগানের খেলা তৈরির আসল কারিগর তিনি। গোল করেন এবং গোল করান। স্কটিশ ফুটবলার চোট পাওয়ার পর কোচ হোসে মোলিনার হাতে দিমিত্রি পেত্রাতোস ছিলেন বটে, কিন্তু নতুন ভূমিকায় পেত্রাতোস প্রথম দিকে খুব একটা মানিয়ে নিতে পারেননি। যদিও জামশেদপুর ম্যাচে ভাল খেলেছেন।
স্টুয়ার্ট ফেরায় পেত্রাতোসকে সম্ভবত আবার বেঞ্চে বসতে হবে। একই সঙ্গে আশিস ফিরলে রিজ়ার্ভ বেঞ্চে ঠাঁই হবে দীপেন্দু বিশ্বাসের। দুই ফুটবলারকে নিয়ে মোলিনা ম্যাচের আগের দিন বললেন, “ওরা দু’জনেই দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছে। নতুন করে কিছু না হলে ওরা কালকের ম্যাচে খেলবে।”
এ দিন অনুশীলনে বেশ ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেল গোটা দলকে। ফিটনেস ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি ‘ফান গেম’-এ মজলেন ফুটবলারেরা। লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিংহ, জেসন কামিংস, জেমি ম্যাকলারেন প্রত্যেকের মধ্যেই স্বতঃস্ফূর্ত ভাব ছিল। এটা বুঝিয়ে দিয়েছে, শীর্ষস্থান নিয়ে একেবারেই মাথা ঘামাতে রাজি নন তাঁরা।
নয় ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চেন্নাইয়িন নবম স্থানে রয়েছে। তবে বাকি দলগুলির মতোই চেন্নাইয়িনকে খাটো করে দেখতে চাইলেন না মোলিনা। বলেছেন, “ওদের মরসুমটা ভালই যাচ্ছে। হয়তো যতটা চাইছে ততটা ভাল নয়। তবে চেন্নাইয়িন দলটা ভাল। ওদের বিরুদ্ধে কাল কঠিন ম্যাচ খেলতে চলেছি। তবে নিজের দলকে নিয়েও আত্মবিশ্বাসী। আশা করি কাল জিতে তিন পয়েন্ট পাব।”
মোহনবাগানের স্ট্রাইকারেরা এখন নিয়মিত গোল করছেন। ম্যাকলারেন গোলের মধ্যে রয়েছেন। আগের ম্যাচে গোল পেয়েছেন লিস্টনও। তবে মোলিনার মতে, দলকে জেতাতে যিনিই গোল করুন না কেন, তিনি খুশি হবেন। বলেছেন, “ফরোয়ার্ডদের নিয়মিত গোল করা নিঃসন্দেহে ভাল লক্ষণ। তবে গোলের জন্য শুধু স্ট্রাইকারদের উপর নির্ভর করলে চলবে না। আমরা দলে সেটাই চেষ্টা করছি। লিস্টন, শুভাশিসেরা গোল করছে। বাকিরাও গোল করে দলকে জেতাতে পারে।”
আপুইয়া-সহ দলের একাধিক ফুটবলারের তিনটি করে হলুদ কার্ড দেখা হয়ে গিয়েছে। আর একটি হলুদ কার্ড মানেই নির্বাসন। যদি মোলিনা মাথাই ঘামাতে রাজি নন তাতে। স্পষ্ট বলেছেন, “যদি দলে পরিবর্ত ফুটবলার না থাকত, তা হলে বেশি চিন্তায় পড়তাম। এখন আমি জানি, পেত্রাতোস না থাকলে কামিংস রয়েছে। না হলে ম্যাকলারেন রয়েছে। আমার দলে ২৪ জন খেলোয়াড়ই গুরুত্বপূর্ণ। এক জন খেলতে না পারলে আর এক জন সব সময় তৈরি থাকে।”