দীপক টাঙরি। ছবি: টুইটার।
এএফসি এশিয়ান কাপে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয়েছে দীপক টাঙরির। প্রথম ম্যাচেই মোহনবাগান মিডফিল্ডারকে সামলাতে হয়েছে বিশ্বকাপ খেলা অস্ট্রেলিয়াকে। টাঙরির খেলা প্রশংসিতও হয়েছে। এত বড় প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচেই প্রথম একাদশে সুযোগ পাবেন, আশা করেননি। কোচ ইগর স্তিমাচের দল দেখে কিছুটা বিস্মিত হওয়ার পর উচ্ছ্বসিতও হয়েছিলেন তিনি। সব কিছু তাঁর কাছে স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে।
প্রতিযোগিতার মাঝেই টাঙরি মুখোমুখি হয়েছিলেন ইন্ডিয়ান সুপার লিগের সরকারি ওয়েব সাইটের। জানিয়েছেন নিজের অনুভূতি এবং লক্ষ্যের কথা। টাঙরি বলেছেন, ‘‘ভারতীয় দলের সম্ভাব্য তালিকায় নাম দেখে ভেবেছিলাম, ধাপে ধাপে এগোতে হবে। ২৬ জনের মধ্যে থাকতে গেলে ক্লাবের হয়ে ভাল খেলতে হবে। ২৬ জনের মধ্যে জায়গা পাওয়ার পর, প্রস্তুতি শিবিরে নিজের সেরাটা দেওয়াই ছিল লক্ষ্য।’’
এশিয়ান কাপের প্রথম ম্যাচের শুরু থেকেই স্তিমাচ তাঁকে মাঠে নামাবেন, ভাবেননি। তাঁর ধারণা ছিল পরিবর্ত হিসাবে পরে নামার সুযোগ পেতে পারেন। টাঙরি বলেছেন, ‘‘ভেবেছিলাম অনুশীলনে ভাল করলে আমাকে হয়তো পরিবর্তদের তালিকায় রাখা হবে। পরে কোনও ম্যাচে প্রথম একাদশে সুযোগ পাব। ভাবিনি প্রথম ম্যাচেই শুরু থেকে খেলার সুযোগ পাব।’’
প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচেই সামনে অস্ট্রেলিয়ার মতো দল। কেমন ছিল অনুভূতি? পঞ্জাবের বিলগা থেকে উঠে আসা মিডফিল্ডার বলেছেন, ‘‘মাঠে নেমে দেখলাম, সবাই আমাদের নামে জয়ধ্বনি দিচ্ছে। চার দিকে ভারতের জাতীয় পতাকা। মনে হচ্ছিল, দেশের মাঠেই খেলছি। এটা আমার কাছে সম্পূর্ণ অন্য রকম অভিজ্ঞতা।’’ সুনীল ছেত্রী, গুরপ্রীত সিংহ সান্ধুদের মতো সিনিয়রেরা পাশে ছিলেন। সাহস দিয়েছেন। তাই প্রতিপক্ষ নিয়ে বেশি ভাবেননি টাঙরি। সবুজ-মেরুন ফুটবলার বলেছেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়া খুব শক্তিশালী দল। প্রতিপক্ষের সামান্যতম ভুলও কাজে লাগায়। আমাদের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। দলের সিনিয়রদের কাছে অনেক কিছু শিখেছি। সুনীল ভাই শিখিয়েছেন, কোন পরিস্থিতিতে কেমন প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত। সন্দেশ ঝিঙ্ঘন সরাসরি কথা বলেন। কার কোথায় ভুল হচ্ছে ধরিয়ে দেন। বলে দেন কী করা উচিত। দলের সিনিয়রেরা সব সময় আমার মতো জুনিয়রদের পাশে থাকে।’’
কাতারের আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে অভিষেকের রাত ভুলতে পারছেন না টাঙরি। তবে সেই ম্যাচ তাঁর কাছে এখন অতীত। যতটা সুযোগ পাবেন, দলের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিতে চান।