(বাঁদিক থেকে) অনিরুদ্ধ থাপা, সঞ্জীব গোয়েঙ্কা এবং জেসন কামিংস। ছবি: টুইটার।
মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের নতুন জার্সি প্রকাশিত হল। মঙ্গলবার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার আরপিএসজি গ্রুপের অফিসে সেই জার্সি প্রকাশ্যে আনা হল। গোয়েঙ্কার সঙ্গে সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন অনিরুদ্ধ থাপা এবং জেসন কামিংস। সবুজ এবং মেরুন রঙের নতুন জার্সিটি এক সমর্থকের নকশা করে বলা জানালেন গোয়েঙ্কা।
মোহনবাগান দলের নামের সামনে এটিকে ছিল। যা নিয়ে সমর্থকদের একাংশের ক্ষোভ তৈরি হয়। তাঁরা নাম পাল্টানোর দাবি তোলেন। সেই দাবি মেনে গোয়েঙ্কা গত মরসুমে মোহনবাগান আইএসএল জেতার পরেই নাম বদল করেন। জানিয়ে দেন যে, আগামী মরসুমে নাম হবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। নাম, লোগোর পর এ বার নতুন জার্সি মোহনবাগানের। গোয়েঙ্কা বলেন, “সমর্থকেরাই এই জার্সির নকশা করেছেন। ৫০০০ জন জার্সির নকশা জমা দিয়েছিলেন। সেখান থেকেই একটি বেছে নেওয়া হয়েছে।”
আইএসএল, ডুরান্ড কাপের সঙ্গে এএফসি কাপেও খেলবে মোহনবাগান। গোয়েঙ্কা সেই সব প্রতিযোগিতায় সাফল্য চান। তিনি মনে করেন, মোহনবাগানের যে গৌরবের ইতিহাস রয়েছে সেটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সাফল্য প্রয়োজন। সেই কারণেই অনিরুদ্ধ, কামিংসের মতো ফুটবলারদের সই করানোর জন্য ঝাঁপিয়েছে সবুজ-মেরুন। শুধু প্রথম একাদশ নয়, গোয়েঙ্কা জানিয়েছেন যে, তাঁদের লক্ষ্য ছিল রিজার্ভ বেঞ্চকেও শক্তিশালী করার। গোয়েঙ্কা বলেন, “আমি মনে করি এই লিগে সব থেকে শক্তিশালী দল মোহনবাগানের। দলে খুব ভাল মিডফিল্ডার এবং স্ট্রাইকার রয়েছেন। দলে ভাল গোলরক্ষক রয়েছেন। আশা করব মাঠে নেমে তাঁরা দল হিসাবে নিজেদের উজাড় করে দিতে পারবে।”
এ বারেই প্রথম মোহনবাগানের হয়ে খেলবেন অনিরুদ্ধ। জাতীয় দলের হয়ে খেলা ২৫ বছরের এই মিডফিল্ডারকে এই মুহূর্তে দেশের অন্যতম সেরা বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি মোহনবাগানে সই করা প্রসঙ্গে বলেন, “এই দলের ইতিহাস রয়েছে। ভারতের অন্যতম সেরা ক্লাব মোহনবাগান। এই দলের উন্নতি করার ইচ্ছা রয়েছে। সেই কারণেই আমি এই ক্লাবে সই করেছি। এখানে আমি দেশের এবং বিদেশের অন্যতম সেরা ফুটবলারদের সঙ্গে সাজঘর ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ পাব। আমি মনে করি ভবিষ্যতে আরও ভাল খেলার ক্ষেত্রে এটা আমাকে সাহায্য করবে।”
মোহনবাগান এই বছর সই করিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার কামিংসকে। তাঁর জন্ম স্কটল্যান্ডে। সেই দেশের হয়ে ফুটবল খেলেছেন তিনি। পরে অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসেন। কাতার বিশ্বকাপের দলেও ছিলেন কামিংস। সেখানে তাঁর সঙ্গে লিয়োনেল মেসির দেখা হয়। আর্জেন্টিনার অধিনায়কের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন তিনি। কামিংস বলেন, “আমার জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত ছিল ওটা। মেসি বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার। ওকে খেলতে দেখাটাই একটা শিক্ষার মতো। আশা করি সেটা আমাকে ভবিষ্যতে ভাল ফুটবলার হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।”