দলের হারে মাথায় হাত ম্যান সিটির কোচ পেপ গুয়ার্দিওলার। ছবি: রয়টার্স।
খারাপ সময় কাটছে না ম্যাঞ্চেস্টার সিটির। প্রিমিয়ার লিগে আরও একটি ম্যাচ হারল তারা। আগের ম্যাচে এগিয়ে গিয়েও ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হারতে হয়েছিল তাদের। এ বার অ্যাস্টন ভিলাও তাদের হারিয়ে দিল। এই হারের ফলে আরও চাপ বাড়ল সিটির কোচ পেপ গুয়ার্দিওলার।
কেভিন দ্য ব্রুইনকে ছাড়াই ভিলার বিরুদ্ধে দল সাজিয়েছিলেন গুয়ার্দিওলা। আক্রমণের দায়িত্ব ছিল আর্লিং হালান্ড, জ্যাক গ্রিলিশ, ফিল ফডেনদের উপর। ছিলেন বের্নার্দো সিলভা, কোভাচিচ, গুন্ডোগানদের মতো ফুটবলার। তার পরেও হতাশ করল সিটি। বলের দখল তাদের বেশি ছিল। গোল লক্ষ্য করে শটও বেশি মেরেছিল সিটি। কিন্তু কাজের কাজ, অর্থাৎ গোলটাই করতে পারল না তারা। আর্জেন্টিনার সোনার গ্লাভসজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেসকে এক বারের বেশি পরাস্ত করতে পারল না ম্যান সিটি। তার খেসারত তাদের দিতে হল।
ম্যাচের ১৬ মিনিটের মাথায় ভিলাকে এগিয়ে দেন জন ডুরান। আরও এক বার ব্যর্থ সিটির রক্ষণ। বার বার বিপদ তৈরি হল তাদের বক্সে। প্রথমার্ধে আর গোল না হলেও দ্বিতীয়ার্ধে ৬৫ মিনিটের মাথায় ব্যবধান বাড়ায় ভিলা। গোল করেন মর্গ্যান রজার্স। চাপ বাড়ছিল গুয়ার্দিওলার উপর। পরিবর্ত হিসাবে কাইল ওয়াকার, জেরেমি ডোকুদের নামিয়ে দেন তিনি। তবু লাভ হয়নি। সংযুক্তি সময়ে ফডেন একটি গোল করলেও তা কাজে লাগেনি। ১-২ গোলে হারতে হয় ম্যান সিটিকে।
এই হারের ফলে পয়েন্ট তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে নেমে গেল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। ১৭ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৭। সিটিকে হারিয়ে তাদের টপকে পাঁচ নম্বরে উঠল ভিলা। ১৭ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৮। শীর্ষে থাকা লিভারপুলের পয়েন্ট ১৫ ম্যাচে ৩৬। অর্থাৎ, দু’ম্যাচ কম খেলে সিটির থেকে ৯ পয়েন্ট এগিয়ে তারা।
প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকায় প্রথম চারটি দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। পাঁচ নম্বর দল খেলে ইউরোপা লিগ। অর্থাৎ, এই জায়গায় থাকলে ইউরোপের কোনও লিগেই খেলার সুযোগ পাবে না সিটি। দল এত খারাপ খেলায় আঙুল উঠতে শুরু করেছে গুয়ার্দিওলার উপর। এক আগে দলের ফুটবলারেরা তাঁকে সমর্থন করেছিলেন। কিন্তু পর পর হার তাঁর ভবিষ্যৎকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। গুয়ার্দিওলাকে দেখে মনে হচ্ছে, কী ভাবে দলকে জয়ে ফেরাবেন সেই পরিকল্পনাই নেই তাঁর কাছে। এই ম্যাচের শেষেও মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়েন তিনি।