গোলের পর সতীর্থদের সঙ্গে উচ্ছ্বাস ক্লেটনের। ছবি: টুইটার
এক দিকে রমরমিয়ে চলছে বিশ্বকাপ। তার মাঝে চলছে আইএসএলও। বিশ্বকাপে ব্রাজিলের দাপটের পাশাপাশি আইএসএলেও রবিবার দেখা গেল এক ব্রাজিলীয়ের দাপট। ক্লেটন সিলভার জোড়া গোলে জামশেদপুরকে অ্যাওয়ে ম্যাচে ৩-১ গোলে হারাল ইস্টবেঙ্গল। প্রথম বার টানা দু’টি অ্যাওয়ে ম্যাচে জিতল তারা। বাকি যে ম্যাচটি জিতেছে, সেটিও গুয়াহাটিতে নর্থইস্টের হয়ে অ্যাওয়ে ম্যাচে। সোমবারের ম্যাচ দেখার পর ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা দাবি করতেই পারেন, তাদের বাকি সবক’টিই অ্যাওয়ে ম্যাচ হোক। কারণ ঘরের মাঠে এখনও জিততে পারেনি ইস্টবেঙ্গল।
শনিবার জেআরডি টাটা কমপ্লেক্সে শুরুটাই দুর্দান্ত হয় ইস্টবেঙ্গলের। দ্বিতীয় মিনিটেই গোল পেয়ে যায় তারা। আক্রমণ শুরু হয় সেই ক্লেটনের থেকেই। তাঁর থেকে নাওরেমের মহেশের পায়ে বল যায়। তিনি ক্রস করেন বক্সের উদ্দেশে। সেখান থেকে অনবদ্য হেডে বল জালে জড়ান ভিপি সুহের। কিছু ক্ষণ পরেই অবশ্য জামশেদপুর আক্রমণ করে। প্রতীক চৌধুরির হেড বাঁচিয়ে দেন লাল-হলুদ কিপার কমলজিৎ সিংহ। এর পর দু’দলই একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে থাকে।
২৬ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরানোর সুযোগ এসেছিল জামশেদপুরের কাছে। এ বার প্রতীকের হেড বারে লাগে। তার পরেই প্রতি আক্রমণ থেকে ব্যবধান বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। বল পেয়ে একাই উঠতে থাকেন মহেশ। এক দিক দিয়ে ছুটছিলেন ক্লেটন। মহেশের নিখুঁত পাস থেকে বল জালে জড়িয়ে দেন ক্লেটন। ৩৭ মিনিটে একটি গোল শোধ করে জামশেদপুর। বক্সের মধ্যে বিপক্ষের ফুটবলারকে ফেলে দেন লালচুংনুঙ্গা। পেনাল্টি থেকে এক গোল শোধ করেন জে টমাস।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ানোর লক্ষ্যে ইস্টবেঙ্গল আরও মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে। কিন্তু জামশেদপুরও হাল ছাড়েনি। পাল্টা আক্রমণে তারাও বেকায়দায় ফেলে দেয় ইস্টবেঙ্গল। বিশেষত টমাসের একটি প্রচেষ্টা থেকে আর একটু হলেই গোল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ক্লেটন নিজের দ্বিতীয় এবং দলের তৃতীয় গোল করে জয় সুনিশ্চিত করেন। বাঁ দিকে বল পেয়েছিলেন সেই মহেশ। একটু এগিয়ে তিনি বক্সের মধ্যে ক্লেটনকে উদ্দেশ্য করে পাস বাড়ান। বিপক্ষ ডিফেন্ডারদের ঘাড়ে নিয়ে গোল করেন ক্লেটন। শেষ দিকে একের পর এক আক্রমণ করে ইস্টবেঙ্গল। তবে ব্যবধান আর বাড়াতে পারেনি তারা।