Surajit Sengupta

সুরজিৎ সেনগুপ্তের নামাঙ্কিত স্মারক পাচ্ছেন বাংলার পাঁচ প্রাক্তন ফুটবলার

বাংলার পাঁচ দিকপাল ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্তের নামাঙ্কিত স্মারক পাচ্ছেন। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর, রবিবার বিজয়গড় নিরঞ্জন সদন হলে সকাল সাড়ে দশটা থেকে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যম প্রাক্তন ফুটবলারদের হাতে এই স্মারক তুলে দেওয়া হবে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:৫৫
সুরজিতের নামে স্মারক দেওয়া হবে প্রাক্তনদের।

সুরজিতের নামে স্মারক দেওয়া হবে প্রাক্তনদের। ফাইল ছবি

আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর, রবিবার যাদবপুরের প্রাক্তন ফুটবলারদের সংস্থা ‘জেফা’-র পরিচালনায় সুরজিৎ সেনগুপ্ত স্মারক তুলে দেওয়া হবে পাঁচ প্রাক্তন ফুটবলারের হাতে। তাঁরা হলেন শ্যাম থাপা, প্রদীপ চৌধুরি, তরুণ বসু, ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায় এবং মিহির বসু। বিজয়গড়ের নিরঞ্জন সদন হলে সকাল সাড়ে দশটা থেকে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যম প্রাক্তন ফুটবলারদের হাতে এই স্মারক তুলে দেওয়া হবে।

দীর্ঘ দিন হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে থাকার পর গত ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হন তিন প্রধানে খেলা প্রাক্তন ফুটবলার সুরজিৎ। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ২৪ জানুয়ারি থেকে ইএম বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা কম ছিল। শ্বাসকষ্ট ছিল, সঙ্গে প্রচণ্ড কাশি। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক হলেও, মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল। তবে মৃত্যুর আগের দিন রাতে আচমকা অবনতি শুরু হয়। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। কথাবার্তা অসংলগ্ন হয়ে পড়ে। অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছিল কৃত্রিম পদ্ধতিতে। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।

Advertisement

১৯৫১ সালের ৩০ অগস্ট সুরজিতের জন্ম। খিদিরপুর ক্লাবে ফুটবল জীবন শুরু করার পর কলকাতার তিন বড় ক্লাবেই খেলেছেন। হুগলির মানুষ সুরজিতের প্রথম বড় ক্লাব মোহনবাগান। ১৯৭২ সাল থেকে দু’বছর মোহনবাগানে ছিলেন। ১৯৭৪ সালে ইস্টবেঙ্গলে। সেই থেকে টানা ছ’বছর লাল-হলুদে খেলেন। ১৯৮০ সালে সই করেন মহমেডানে। পরের বছর ফের মোহনবাগানে। খেলেন তিন বছর। ১৯৭৮ সালে তিনি ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক ছিলেন। দেশের হয়ে খেলেছেন ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত। ১৯৭৬ সালে সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার অধিনায়ক হন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement