কাতারের আল বায়াত স্টেডিয়ামে হয়ে গেল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ছবি: রয়টার্স
শুরু হয়ে গেল ফুটবল বিশ্বকাপ। জাঁকজমকের মাধ্যমে দোহার আল বায়াত স্টেডিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হল। কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে প্রচুর বিতর্ক থাকলেও, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাতিয়ে দিল তারা। দেওয়া হল ঐক্যের বার্তা, দেওয়া হল সাম্যের বার্তা। ফুটবলই যে দুনিয়াকে এক করতে পারে, সেই বার্তা বারে বারে উঠে এল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরুর অনেক আগে থেকেই ভিড় জমতে শুরু করেছিল আল বায়াত স্টেডিয়ামের বাইরে। হলুদ জার্সি এবং পতাকা নিয়ে সোল্লাসে স্টেডিয়ামের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ইকুয়েডরের সমর্থকরা। অন্য প্রান্ত থেকে এগিয়ে আসছিলেন সাদা এবং সবুজ জার্সি পরিহিত কাতার সমর্থকরা। নাচগান, ঢাকঢোলের শব্দের মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে যায়, বিশ্বকাপ শুরু হতে আর দেরি নেই।
নির্ধারিত সময়ের কিছুটা পরেই শুরু হল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। প্রথমেই দেখা যায় সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রধানমন্ত্রী তথা দুবাইয়ের শাসক শেখ মহম্মদ বিন রশিদ আল-মাখতুম। প্রথমে গানের অনুষ্ঠান হয়। তার পরেই বিশ্বকাপে ঐক্যের বার্তা শোনাতে শোনাতে হাজির হন হলিউডি অভিনেতা মর্গ্যান ফ্রিম্যান। তাঁর সঙ্গে মঞ্চে প্রবেশ করে কাতারের বিশেষ ভাবে সক্ষম ঘানেম আল-মুফতাহ।
প্রত্যাশামতোই গাইলেন কোরীয় ব্যান্ড বিটিএস-এর প্রধান গায়ক জান কুক। তাঁর সঙ্গেই এলেন কাতারের গায়ক ফাহাদ আল-কুবায়সি। এর আগের বিশ্বকাপে যে যে গানগুলি গাওয়া হয়েছিল, সেগুলি ফিরে এল। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে রিকি মার্টিনের গাওয়া ‘ওলে, ওলে’ থেকে ২০১০ বিশ্বকাপে শাকিরার গাওয়া ‘ওয়াকা, ওয়াকা’, সবই শোনা গেল। আগের বারের বিশ্বকাপে যে সব ম্যাসকট ছিল, তাদেরকেও একে একে হাজির করানো হল।
(এই প্রতিবেদন প্রথম প্রকাশের সময় শেখ মহম্মদ বিন রশিদ আল-মাখতুমকে কাতারের শাসক হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল। তিনি আসলে দুবাইয়ের শাসক। ভ্রম সংশোধন করা হয়েছে। এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।)