FIFA World Cup 2022

পরের বিশ্বকাপ আরও বড়! বাড়ছে দেশের সংখ্যা, খেলবে আরও ১৬টি দেশ, কোন নিয়মে হবে খেলা?

কোন ফরম্যাটে পরের বিশ্বকাপ খেলা হবে, তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ফিফা একটি প্রস্তাব নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছিল। তবে তা এই মুহূর্তে স্থগিত রাখা হয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ ২০:১১
পরের বার বিশ্বকাপে দেখা যেতে চলেছে অনেক বদল।

পরের বার বিশ্বকাপে দেখা যেতে চলেছে অনেক বদল। ছবি: রয়টার্স

কাতারের বিশ্বকাপ শেষ পর্যায়ে। চলছে নকআউট পর্বের ম্যাচ। তবে এর মাঝেই পরের বিশ্বকাপের ফরম্যাট নিয়ে তৈরি হল জটিলতা। পরের বার যে ৪৮ দলের বিশ্বকাপ, সেটা এক প্রকার নিশ্চিত। কিন্তু কোন ফরম্যাটে সেই বিশ্বকাপ খেলা হবে, তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ফিফা একটি প্রস্তাব নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছিল। তবে তা এই মুহূর্তে স্থগিত রাখা হয়েছে। এ কথা জানিয়েছেন আর্সেনালের প্রাক্তন কোচ তথা ফিফার গ্লোবাল ফুটবলের প্রধান আর্সেন ওয়েঙ্গার।

পরের বিশ্বকাপে ৩২ দলের পাশাপাশি আরও ১৬টি দলকে নিয়ে মোট ৪৮ দলের বিশ্বকাপ হতে চলেছে। ঠিক করা হয়েছিল, তিনটি দলকে নিয়ে ১৬টি গ্রুপ তৈরি করা হবে। প্রতি গ্রুপ থেকে দু’টি করে দল নকআউটের যোগ্যতা অর্জন করবে। তবে এ বারের বিশ্বকাপে একের পর এক অঘটন দেখে সেই প্রস্তাব নিয়ে আপাতত বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ, সে ক্ষেত্রে ভাল খেলেও একটি দল ছিটকে যেতে পারে।

Advertisement

শুধু তাই নয়, নকআউটে ওঠার জন্য ব্যাপক গড়াপেটাও হতে পারে। ১৯৮৬ সাল থেকে চলে আসা নিয়ম অনুযায়ী, গ্রুপ পর্বের শেষ রাউন্ডে চারটি দল একই সময়ে ম্যাচ খেলতে নামে। এতে কোনও দলই বাড়তি সুবিধা পায় না। কিন্তু গ্রুপে তিনটি দল থাকলে শেষ রাউন্ডে সব দল একই সময়ে ম্যাচ খেলতে পারবে না। এ ক্ষেত্রে শেষ রাউন্ডের ম্যাচে অংশগ্রহণকারী দু’টি দল পরের রাউন্ডে যাওয়ার জন্য নিজেদের সুবিধা মতো খেলতে পারে। ফলে গড়াপেটার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।

রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে ওয়েঙ্গার বলেছেন, “এখনও ঠিক হয়নি কোন ফরম্যাটে খেলা হবে। তিন দলের ১৬টি গ্রুপ বা চার দলের ১২টি গ্রুপ হতে পারে। অথবা চার দলের ১২টি গ্রুপ করে দু’টি অর্ধে ভাগ করে দেওয়া হতে পারে। সেটা আমি ঠিক করতে পারি না। ফিফা কাউন্সিল ঠিক করবে। আশা করি পরের বছরই জানিয়ে দেওয়া হবে।”

৪৮টি দলের জন্য বিশ্বকাপের খেলার মান সার্বিক ভাবে কমবে? মানতে নারাজ ওয়েঙ্গার। তিনি বলেছেন, ‘‘২০২৬ সালের বিশ্বকাপে আমরা আরও ১৬টা দুর্দান্ত দলকে দেখতে পাব। প্রতিযোগী দলের সংখ্যা বাড়লে অনেক দেশই আগ্রহী হবে। তারা নিজেদের ঘরোয়া ফুটবলের মান বাড়ানোর চেষ্টা করবে। অনেকেই চাইবে ফুটবলের বিশ্ব মঞ্চে নিজেদের মেলে ধরতে। আখেরে ফুটবলেরই সার্বিক উন্নতি হবে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement