বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় সোনার বল জিতলেন মেসি। তবে এ বার হাসি মুখে পুরস্কার নিলেন তিনি। ছবি: ইমাগো
বিশ্বকাপকে বিদায় জানালেন লিয়োনেল মেসি। তবে মাথা নিচু করে চোখের জলে নয়। মাথা উঁচু করে। হাসতে হাসতে। বিশ্বকাপের ফাইনালে করলেন জোড়া গোল। সর্বাধিক গোলের তালিকায় ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপে তাঁকে টেক্কা দিলেও বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলারের শিরোপা জিতলেন মেসি। পেলেন সোনার বল। এর আগে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপেও সোনার বল জিতেছিলেন মেসি। কিন্তু সে বার চোখের জলে সেই পুরস্কার নিয়েছিলেন মেসি। এ বার নিলেন হাসতে হাসতে।
ফাইনালে খেলাটা হওয়ার কথা ছিল মেসি বনাম এমবাপের। দুই দলের দুই ১০ নম্বর জার্সিধারিদের। সেখানে প্রথমার্ধে তরুণ যুবরাজকে প্রতি পদে টেক্কা দিলেন বৃদ্ধ রাজা। বয়স হয়তো হয়েছে, কিন্তু ধার কমেনি। গতি হয়তো কিছুটা কমেছে, কিন্তু রক্ষণ চেরা পাস কমেনি। প্রথমার্ধ জুড়ে তার ঝলক দেখা গেল। নিজের শেষ বিশ্বকাপ স্মরণীয় করে রাখতে মরিয়া হয়ে খেলছিলেন মেসি। আর তাঁকে বিশ্বকাপ দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে খেলছিলেন আর্জেন্টিনার বাকি ১০ ফুটবলার। রক্ষণ, মাঝমাঠ থেকে আক্রমণ, কোথাও ফ্রান্সকে একটু জায়গা দিলেন না আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে রক্ষণেও নামতে দেখা গেল মেসিকে। যথার্থ নেতার মতো খেললেন তিনি।
প্রথমার্ধে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। স্পট থেকে গোল করতে কোনও ভুল করেননি মেসি। ফ্রান্সের গোলরক্ষক হুগো লরিসকে ভুল দিকে ফেলে গোল করেন। দি মারিয়ার গোলের আক্রমণও শুরু হয়েছিল মেসির পাস থেকেও। অতিরিক্ত সময়ে গোল করে আর্জেন্টিনাকে আরও এক বার এগিয়ে দেন মেসি। লাউতারো মার্তিনেসের শট লরিস আটকে দিলেও ফিরতি বল থেকে গোল করতে কোনও ভুল করেননি মেসি। এ বার ডান পায়ে গোল করলেন তিনি। তার পরে টাইব্রেকারেও আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম গোল মেসির পা থেকেই।
এ বারের বিশ্বকাপে প্রথম থেকেই ছন্দে ছিলেন মেসি। গ্রুপের তৃতীয় ম্যাচ ছাড়া প্রতিটি ম্যাচে গোল করেছেন তিনি। পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে পেনাল্টি না ফস্কালে সাতটি ম্যাচেই গোল করতে পারতেন তিনি। মেসিই একমাত্র ফুটবলার যিনি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব, প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনালে গোল করলেন। সব মিলিয়ে ৭টি গোল করেছেন তিনি। করিয়েছেন ৩টি গোল। স্বাভাবিক ভাবেই বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলার তিনি। তাই সোনার বল জিতেই মাঠ ছাড়লেন তিনি।