বিশ্বকাপের ম্যাচে সুইৎজ়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করার পর র্যামোস। ছবি: টুইটার।
সুইৎজ়ারল্যান্ডকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপের শেষ আটে পর্তুগাল। এ বারের বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিক করেছেন গনসালো র্যামোস। মঙ্গলবারের ম্যাচে আরও কয়েকটি নজির তৈরি হয়েছে।
র্যামোস চিন্তায় ফেলে দিয়েছেন পর্তুগালের কোচ ফের্নান্দো স্যান্টোসকে। মরক্কোর বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁকে রেখেই আক্রমণের পরিকল্পনা সাজাবেন না অভিজ্ঞ ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে ফেরাবেন প্রথম একাদশে। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই নজর কেড়েছেন র্যামোস। প্রথম বিশ্বকাপেই হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব দেখালেন তিনি। এর আগে ২০০২ সালে জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোজ নিজের প্রথম বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। এত দিন তাঁর একারই এই কৃতিত্ব ছিল। ১৯৯০ সালের পর বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে হ্যাটট্রিক করেছেন প্রথম ফুটবলার হিসাবে। সে বার কোস্টা রিকার বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেছিলেন চেক প্রজাতন্ত্রের টমাস স্কুরাভি।
২১ বছরের র্যামোস হলেন বিশ্বকাপের ইতিহাসের কনিষ্ঠতম ফুটবলার, যিনি নকআউট পর্বে হ্যাটট্রিক করলেন। এই নজির এতদিন ছিল পেলের দখলে। তিনি ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করে নজির গড়েছিলেন। ব্রাজিলের প্রাক্তন তারকা প্রথম ফুটবলার হিসাবে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব অর্জন করেন।
মঙ্গলবার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই র্যামোস বিভ্রান্ত করে দিলেন সুইৎজ়ারল্যান্ডের রক্ষণকে। তাঁকে আটকাতে পারেননি সুইৎজ়ারল্যান্ডের ফুটবলাররা। ১৭ মিনিটের মাথায় গোল করে পর্তুগালকে এগিয়ে দেন গনসালো রামোস। থ্রো থেকে বক্সের মধ্যে রামোসকে পাস দেন জোয়াও ফেলিক্স। প্রথম পোস্টে থাকা গোলরক্ষকের পাস দিয়ে জোরালো শটে গোল করেন রামোস। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেন গোলরক্ষক। ম্যাচের ৫১ মিনিট এবং ৬৭ মিনিটে আরও দু’টি গোল করেন ২১ বছরের স্ট্রাইকার।
৫১ মিনিটের মাথায় বল নিয়ে ডান প্রান্ত ধরে ওঠেন দিয়োগো দালত। তিনি ক্রস রাখেন বক্সে। বাঁ পায়ের টোকায় গোলরক্ষকের পায়ের তলা দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন র্যামোস। ৬৭ মিনিটের মাথায় নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন রামোস। নিজেদের মধ্যে বল খেলে বক্সের মধ্যে তাঁর দিকে বল বাড়ান ফের্নান্দেস। আগুয়ান গোলরক্ষকের মাথায় উপর দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন র্যামোস। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে তাঁকে তুলে নিয়ে পরিবর্ত হিসাবে রোনাল্ডোকে নামান পর্তুগিজ কোচ।