অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা বিশ্বকাপে দেখা যেতে চলেছে ভার প্রযুক্তি। ফাইল ছবি
ফিফার নির্বাসন ওঠায় আগামী অক্টোবরে ভারতে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ হতে কোনও বাধা নেই। সেই বিশ্বকাপে নতুন প্রযুক্তি দেখা যেতে চলেছে। এই প্রথম বার বয়সভিত্তিক কোনও বিশ্বকাপে ভিডিয়ো অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভার) প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। মঙ্গলবার ফিফার তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ভুবনেশ্বর, মারগাঁও এবং নবি মুম্বইয়ের অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা বিশ্বকাপের ম্যাচগুলি হবে।
ফিফার মহিলা রেফারি বিভাগের প্রধান কারি সাইৎজ বলেছেন, “ম্যাচ পরিচালনা এবং রেফারিদের গুণমান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার মঞ্চ হিসাবে এই বিশ্বকাপকে কাজে লাগাতে চাই আমরা। এ বারই প্রথম অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা বিশ্বকাপে ভার প্রযুক্তি ব্যবহার করতে দেখা যাবে। যাঁরা মহিলা ভিডিয়ো অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি, তাঁদের কাছে এটা দারুণ সুযোগ। কারণ আমাদের প্রধান লক্ষ্য ২০২৩ মহিলা বিশ্বকাপে সফল ভাবে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা।”
ভার প্রযুক্তি সাধারণত চারটি ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়— গোল বা গোলের সুযোগ তৈরির সময় বাধা দেওয়া হলে, পেনাল্টি দেওয়ার সিদ্ধান্ত বা পেনাল্টির আগে অবৈধ ভাবে বাধা দেওয়া হলে, সরাসরি লাল কার্ডের ক্ষেত্রে এবং ভুল ফুটবলারকে কার্ড দেখানো হলে। ম্যাচের সময় এই চারটি বিষয় কড়া নজরে রাখে ভার দল। কোনও ক্ষেত্রে মাঠে থাকা রেফারির সিদ্ধান্ত ভুল হলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বলা হয়।
পুরুষদের ফুটবলে ভারের ব্যবহার বেশ কিছু দিন ধরে হয়ে এলেও, মহিলাদের ফুটবলে সেই সংখ্যা কম। সেটাই বদলানোর চেষ্টা করছে ফিফা। এ বছর কোস্টারিকায় অনূর্ধ্ব-২০ মহিলা বিশ্বকাপ এবং ২০১৯-এ ফ্রান্সে মহিলাদের বিশ্বকাপে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ভারতে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার ভার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এ বছরের শুরুর দিকে এএফসি মহিলা এশিয়ান কাপে ভারের ব্যবহার দেখা গিয়েছিল।
অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা বিশ্বকাপে কত জন রেফারি থাকছেন তা জানিয়ে দিয়েছে ফিফা। ১৪ জন মহিলা রেফারি, ২৮ জন মহিলা সহকারী রেফারি, তিন জন সাপোর্ট রেফারি এবং ১৬ জন ভিডিয়ো ম্যাচ আধিকারিক থাকবেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ অগস্ট মধ্য রাতে ফিফা নির্বাসিত করে ভারতীয় ফুটবল সংস্থাকে। ফিফা যা যা বলেছিল, তা মেনে নেওয়ার পরেই নির্বাসন তুলে নেওয়া হয়। আগামী ২ সেপ্টেম্বর নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। সভাপতি পদে লড়ছেন ভাইচুং ভুটিয়া এবং কল্যাণ চৌবে।