বেটো। ছবি: এক্স (টুইটার)।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (ইপিএল) মরসুমের দ্রুততম গোলের নজির গড়লেন এভারটনের আবদৌলায়ে ডোকউর। যিনি বেটো নামে পরিচিত। লেস্টার সিটির বিরুদ্ধে এই নজির গড়েছেন মালির মিডফিল্ডার। একই সঙ্গে ইপিএলেও নজির গড়েছেন তিনি।
শনিবার লেস্টার সিটির বিরুদ্ধে মাত্র ১০ সেকেন্ডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ডোকউর। কিক অফের পর জেমস গার্নার বল পাঠিয়ে দেন গোলরক্ষক জর্ডন পিকফোর্ডকে। তিনি বল পেয়ে লেস্টারের অর্ধে পাঠিয়ে দেন। বল গিয়ে পড়ে লেস্টারের বক্সের মাথায়। বল লক্ষ্য করে সেখানে পৌঁছে যান বেটো। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে গোল করেন। তাঁর এই গোল ইপিএলের ইতিহাসে কোনও ম্যাচের আয়োজক দলের ক্ষেত্রে দ্রুততম। তাঁর দলও ম্যাচে সহজে জয় পেয়েছে। লেস্টার সিটিকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়েছে এভারটন।
সব মিলিয়ে ইপিএলের ইতিহাসে চতুর্থ দ্রুততম গোল করেছেন বেটো। তাঁর গোলটি এসেছে ম্যাচের ১০.১৮ সেকেন্ডে। ২০১৯ সালে সাউদম্পটনের হয়ে ওয়াটফোর্ডের বিরুদ্ধে ৭.৬৯ সেকেন্ডে গোল করেছিলেন শেন লং। প্রতিযোগিতার ইতিহাসে দ্রুততম গোলের নজির গড়েন তিনি। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ২০২২ সালে আর্সেনালের বিরুদ্ধে বোর্নমাউথের ফিলিপ বিলিংয়ের করা ৯.১১ সেকেন্ডের গোল। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ২০২৩ সালে ব্র্যাড ফোর্ড সিটির বিরুদ্ধে টটেনহ্যামের হয়ে লেডলি কিংয়ের ৯.৮২ সেকেন্ডের গোল।
ইপিএলের অন্য ম্যাচে বোর্নমাউথের বিরুদ্ধে ২-০ ব্যবধানে জিতেছে লিভারপুল। দু’টি গোলই করেছেন মহম্মদ সালাহ। এই ম্যাচে ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে ৩০০ তম গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। শুধু লিভারপুলের হয়ে তাঁর গোল সংখ্যা হল ২৩৬। বড় জয় পেয়েছে নটিংহ্যাম ফরেস্ট। তারা ৭-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাইটনকে। ফুলহ্যামের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরেছে নিউক্যাসল।
অন্য দিকে, লা লিগায় অঘটন। অবনমন বাঁচানোর লড়াইয়ে থাকা এসপ্যানিয়লের কাছে ০-১ গোলে হেরে গেল রিয়াল মাদ্রিদ। গোলের একাধিক সুযোগ নষ্ট করে অ্যাওয়ে ম্যাচে হারতে হল লুকা মদ্রিচদের। ৮৫ মিনিটে ম্যাচের এক মাত্র গোলটি করেন এসপ্যানিয়লের কার্লোস রোমেরো।