East Bengal

কেরলকে চার গোল দিয়েও প্লে-অফ নিয়ে ভাবছে না ইস্টবেঙ্গল, চোখ বেঙ্গালুরু ম্যাচে

কেরল ব্লাস্টার্সকে তাদের ঘরের মাঠে হারিয়ে চমকে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। প্লে-অফ এখনও নির্ভর করছে যদি-কিন্তুর উপরে। ইস্টবেঙ্গল এখন আর সে সব নিয়ে ভাবছেই না। পরের দু’টি ম্যাচ জিতে নিজেদের কাজটা করে রাখতে চাইছে তারা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:৫২
football

ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের উচ্ছ্বাস। ছবি: আইএসএল

কেরল ব্লাস্টার্সকে তাদের ঘরের মাঠে হারিয়ে চমকে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। প্লে-অফের রাস্তা কিছুটা পরিষ্কার হল ঠিকই। তবে এখনও নির্ভর করছে যদি-কিন্তুর উপরে। ইস্টবেঙ্গল এখন আর সে সব নিয়ে ভাবছেই না। পরের দু’টি ম্যাচ জিতে নিজেদের কাজটা করে রাখতে চাইছে তারা। বুধবার ম্যাচ শেষে এমন কথাই বলেছেন সহকারী কোচ বিনো জর্জ। প্রধান কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত কার্ড সমস্যার জন্য এই ম্যাচে মাঠে থাকতে পারেননি। তাই সাংবাদিকদের সামনেও আসেননি। কেরলের বিনো জর্জ তাঁর নিজের রাজ্যের দলকে হারাতে পেরে খুশি।

Advertisement

বিনো বলেছেন, “এখন আমরা শুধুই পরের ম্যাচের কথা ভাবছি। প্লে-অফে ওঠার কথা ভাবছিই না। আমরা সেরা ছয়ে থেকে লিগ শেষ করতে চাই এটা ঠিকই। সে রকম ভেবে কিছু পরিকল্পনাও তৈরি রয়েছে। আমরা এখন সেই পরিকল্পনা অনুযায়ীই এগোব।” ইস্টবেঙ্গলের পরের দু’টি ম্যাচ যথাক্রমে ঘরের মাঠে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে (৭ এপ্রিল) ও পাঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে দিল্লিতে (১০ এপ্রিল)।

এ দিন জোড়া গোল করেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার সাউল ক্রেসপো ও নাওরেম মহেশ সিং। ক্রেসপোর একটি গোলে অ্যাসিস্ট করেন রিজার্ভ দল থেকে উঠে আসা আমন সিকে। মহেশের একটি গোল হয় ভিক্টর ভাসকুয়েসের ক্রসে ও অন্যটি আসে ক্লেটন সিলভার পাস থেকে। দলের জুনিয়র ফুটবলারদের প্রশংসা করে বিনো বলেন, “আমাদের দলের তরুণ ফুটবলাররা দারুণ খেলছে। আজ আমনের পারফরম্যান্স তো খুবই ভাল হয়েছে। ওর জন্য একটা গোল পেয়েছি আমরা। আমাদের কোচ কার্লেস জুনিয়র খেলোয়াড়দের খুবই পছন্দ করেন, ওদের উৎসাহ দেন এবং অনেক সুযোগও দেন। ওরাও নিজেদের প্রমাণ করছে।”

বুধবার আগে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল কেরলই। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে ক্রেসপো পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান। বিরতির পরে একাধিক পরিবর্তন করে ইস্টবেঙ্গল, যেগুলির প্রায় প্রতিটিই কাজে লাগে। সেই প্রসঙ্গে বিনো বলেছেন, “আমরা বরাবরই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে পরিবর্ত খেলোয়াড়দের নামাই। দ্বিতীয়ার্ধে যে পরিবর্তনগুলো করেছি আমরা সেগুলোও ঠিকঠাকই হয়েছে। লাল কার্ডের জন্য বিপক্ষের ফুটবলারেরা সংখ্যায় কম ছিল। তাতে আমাদের কিছুটা সুবিধাই হয়েছে।”

লিগ টেবলের উপরের চেয়ে এখন নীচের দিকের অবস্থা অনেক বেশি উত্তেজক। ছ’নম্বরে থাকা বেঙ্গালুরু এফসি-র সংগ্রহ ২০ ম্যাচে ২২। এর পরের চারটি স্থানে থাকা দলগুলির পয়েন্ট সংখ্যা ২১। এদের মধ্যে শুধু চেন্নাইয়িন ১৯টি ম্যাচ খেলেছে। বাকি তিন দলেরই ২০টি করে ম্যাচ হয়ে গিয়েছে। এখন যারা ১১ নম্বরে, সেই নর্থইস্ট ইউনাইটেডের খাতায় ১৯ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট। তাদের পরের ম্যাচ ঘরের মাঠে এই কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধেই।

আরও পড়ুন
Advertisement