উল্লাস: মোহনবাগানকে এগিয়ে দেওয়ার পরে কাউকোকে অভিনন্দন মনবীরদের। মঙ্গলবার। ফাইল চিত্র।
এএফসি কাপের আন্তঃআঞ্চলিক সেমিফাইনালে যোগ্যতা অর্জনের স্বপ্নপূরণের রাত। মাজ়িয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবকে ৫-২ গোলে চূর্ণ করার পরে যুবভারতীর গ্যালারিতে তখন হাজার হাজার মোবাইলের ফ্ল্যাশবাল্বের ঝলকানি। গ্যালারির সামনে গিয়ে ‘ভাইকিং ক্ল্যাপ’ দিচ্ছেন ফুটবলাররা। মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন এটিকে-মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। যুবভারতী কখনও তাঁকে খালি হাতে ফেরায়নি।
২০২১ সালের ৩ অক্টোবর—মহমেডানকে হারিয়ে ডুরান্ড কাপে এফসি গোয়াকে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন এই যুবভারতীতে। তার পরে গত ১৯ এপ্রিল আবাহনীকে প্লে-অফে ৩-১ গোলে হারিয়ে এএফসি কাপের মূল পর্বে যোগ্যতা অর্জন। সেই প্রিয় যুবভারতীতেই এ বার ‘ডি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে গোকুলম এফসির কাছে ২-৪ গোলে হারের লজ্জা নিয়েই শুধু মাঠ ছাড়েননি স্পেনীয় কোচ, বিদ্ধ হয়েছিলেন সমালোচনার তিরেও।
মঙ্গলবার মাজ়িয়াকে ৫-২ গোলে হারিয়ে আক্রমণাত্মক মোহনবাগানের স্পেনীয় কোচ। সাংবাদিক বৈঠকে জুয়ান বললেন, ‘‘আমি দারুণ খুশি ফুটবলারদের ও সমর্থকদের জন্য। গত ছ’দিন ধরে আমাদের সম্পর্কে অনেক নেতিবাচক মন্তব্য করা হচ্ছিল। আমরা সেরা ক্লাব, কারণ অন্যদের সম্মান করি। প্রমাণ হয়ে গেল সাংবাদিক বৈঠকে নয়, ফুটবলে সেরা দলই পরের পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে!’’ যোগ করেন, ‘‘তিনটি ম্যাচের মধ্যে দুটিতে আমরা জিতেছি ৪-০ ও ৫-২ গোলে। পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে দিচ্ছে আমরা সেরা কি না। সারা বিশ্বেই মানুষ ফুটবল দেখেন আনন্দ পাওয়ার জন্য। কাউকে অপমান করা দেখতে বা শুনতে ভালবাসেন না।’’
মাজ়িয়ার বিরুদ্ধে জোড়া গোল করে ম্যাচের সেরা জনি কোচের পাশে বসে বললেন, ‘‘এত দর্শকের সামনে জেতার আনন্দই আলাদা।’’