ফেরান্দোর নতুন লক্ষ্য। ফাইল ছবি
আইএসএলের সেমিফাইনালে হার এটিকে মোহনবাগানের কাছে এখন অতীত। মঙ্গলবার এএফসি কাপে নতুন ভাবে অভিযান শুরু করতে চাইছে সবুজ-মেরুন। লক্ষ্য একটাই, এশীয় পর্যায়ের এই প্রতিযোগিতায় ভাল ফল করা। ট্রফির স্বপ্ন এখন থেকেই ঘুরছে মাথায়। এমনকী একাধিক ফুটবলার হাতে না থাকলেও ঘাবড়াচ্ছেন না কোচ জুয়ান ফেরান্দো। সামনে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ থাকায় মঙ্গলবার যুবভারতীতে ম্যাচ জিতেই ফিরতে চাইছেন তিনি।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে ফেরান্দো বললেন, “আইএসএলের সেমিফাইনালে হার আমরা সবাই এখন ভুলে গিয়েছি। এখন একটাই লক্ষ্য, পরের প্রতিযোগিতায় সব নতুন ভাবে শুরু করা। আইএসএলের সেমিফাইনালে হার অবশ্যই আমাদের পক্ষে মেনে নেওয়া কঠিন ছিল। মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু এই ফুটবলাররা সেটা কাটিয়ে উঠেছে।” মিডফিল্ডার জনি কাউকোর মুখেও একই কথা। বললেন, “সত্যিই হতাশাজনক একটা মরসুম গেল আমাদের কাছে। কিন্তু সামনে আরও একটা সুযোগ রয়েছে। নিজেদের সেরাটা দিতে মুখিয়েই আছি।”
মঙ্গলবারের ম্যাচে রয় কৃষ্ণর না খেলা কার্যত নিশ্চিত। ফিটনেসের কারণে তীব্র অনিশ্চয়তা রয়েছে সন্দেশ জিঙ্ঘনকে নিয়েও। ফেরান্দো জানালেন, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সন্দেশকে খেলানোর চেষ্টা করে যাবেন। যদিও অনুশীলনে সন্দেশকে দেখা গেল না। ফলে তাঁর খেলার সম্ভাবনাও প্রায় নেই। ব্লু স্টার নামছে অধিনায়ক এবং সহ-অধিনায়ককে ছাড়াই। কিন্তু এ দিনও ফেরান্দোর মুখে প্রতিপক্ষের প্রশংসা। বললেন, “মনে রাখতে হবে ওরা শ্রীলঙ্কার এক নম্বর দল। নিজেদের দিনে ওরা যে কাউকে হারাতে হবে। ফলে প্রতিপক্ষ যে-ই হোক, আমরা সাবধানতা অবলম্বন করেই নামব।”
সাংবাদিক বৈঠকে বার বার ঘুরেফিরে এল যুবভারতী স্টেডিয়ামে প্রথম বার সবুজ-মেরুন দর্শকদের সামনে খেলার প্রসঙ্গ। ফেরান্দো বলেছেন, “দলের খেলোয়াড়রা এত দিন পর সমর্থকদের সামনে খেলতে পারবে, এর থেকে আনন্দের আর কিছু হয় না। ১০০ শতাংশ নিশ্চিত যে মাঠে দর্শক থাকার কারণেই আমরা এগিয়ে থেকে নামব। দলের প্রত্যেকে খুশি যে অবশেষে ওদের খেলা দেখতে হাজির থাকবেন সমর্থকরা।” জনি আবার এর মধ্যেই ডার্বির ভিডিয়ো দেখে ফেলেছেন। মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের দ্বৈরথ ঘিরে শহরের যে উন্মাদনা তা ফিনল্যান্ডের ফুটবলারের নজরে পড়েছে। বলেছেন, “ডার্বির ভিডিয়ো দেখে অসাধারণ লাগল। একটা অন্য রকম পরিবেশ তৈরি হয় ওই ম্যাচ ঘিরে। আশা করি মঙ্গলবার আমাদের ম্যাচ নিয়েও দর্শকরা একই রকম উন্মাদনা দেখাবেন।”