জেসন কামিংস। —ফাইল চিত্র।
মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কাছে সোমবারের ম্যাচ ছিল ফাইনালের সমান। মুম্বই সিটি-কে না হারালে আইএসএল লিগ-শিল্ড জেতা হত না সবুজ-মেরুনের। সেটাই করলেন মোহনবাগানের ফুটবলারেরা। দেখে নেওয়া যাক সোমবার মোহনবাগানের জয়ের নেপথ্যে রয়েছেন কারা।
আন্তেনিয়ো লোপেজ হাবাস: অসুস্থ ছিলেন বেশ কিছু দিন। মোহনবাগানের বেঞ্চে দেখা যেত না তাঁকে। সোমবার তিনি এসেছিলেন। মাঠে ঢুকতেই চিৎকার শুরু করে মোহন-সমর্থকেরা। বোঝা যায় শুধু দলের নয়, সমর্থকদের কাছেও বড় ভরসার নাম হাবাস। তিনি এ দিনের দলে প্রথম একাদশে রেখেছিলেন লিস্টন কোলাসোকে। তিনিই প্রথম গোলটি করেন। মোহনবাগানের জয়ের নায়ক অবশ্যই কোচ হাবাস। শক্তিশালী মোহনবাগানকে কী ভাবে আটকাতে হয় দেখিয়ে দিলেন তিনি। রক্ষণ জমাট রেখে আক্রমণ করে গেলেন হাবাস।
লিস্টন কোলাসো: মোহনবাগান তাঁর গোলেই প্রথমার্ধে এগিয়ে যায়। আগের ম্যাচে প্রথম একাদশে ছিলেন না। সেই নিয়ে মন খারাপও ছিল। সোমবার মাঠে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণ করছিলেন তিনি। সেই আক্রমণ থেকেই গোল আসে। এগিয়ে যায় মোহনবাগান। বেড়ে যায় মনোবলও। মুম্বইয়ের আক্রমণের বিরুদ্ধে গিয়ে মোহনবাগানের এই গোল অনেকটাই পার্থক্য গড়ে দেয়।
জেসন কামিংস: তৃতীয় নায়ক অবশ্যই কামিংস। প্রথম একাদশে ছিলেন না। পরিবর্ত ফুটবলার হিসাবে মাঠে নামেন। সাদিকু গোলের মুখ খুলতে পারছিলেন না। সেটাই করে দেখালেন কামিংস। মাঝমাঠ থেকে দিমিত্রি পেত্রাতোস লম্বা পাস বাড়িয়েছিলেন। সেই বল ধরে রক্ষণভাগের ফুটবলারকে বোকা বানিয়ে গোল করেন কামিংস। সেই গোল না হলে ম্যাচ ড্র হয়ে যেতে পারত। কারণ শেষ বেলায় মুম্বই একটি গোল শোধ করে দেয়।