রবিচন্দ্রন অশ্বিন। —ফাইল চিত্র।
এ বারের আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসে রয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিনি খেলার মাঠে থাকলেও তাঁর ইউটিউব চ্যানেল প্রতিটি ম্যাচের বিশ্লেষণ করছে। এমনকি চেন্নাইয়ের ম্যাচও। সে রকমই একটি বিশ্লেষণের সময় চেন্নাই সুপার কিংসের দল নির্বাচনের সমালোচনা করেছিল অশ্বিনের ইউটিউব চ্যানেল। সেই ঘটনায় বিতর্ক হয়েছে। অবশেষে পিছু হটেছেন অশ্বিন। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাকি মরসুমে চেন্নাইয়ের কোনও ম্যাচের বিশ্লেষণ সেখানে হবে না।
অশ্বিনের ইউটিউব চ্যানেলে বিশ্লেষণে অংশ নেন অনেকে। তেমনই এক বিশ্লেষক প্রসন্ন আগোরাম। ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রসন্ন থাকেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। অশ্বিনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খুব ভাল। সেই প্রসন্নের মতে, চেন্নাইয়ের দলে অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাডেজা থাকার পরেও খেলানো হচ্ছে নুর আহমেদকে। আফগানিস্তানের স্পিনারের বদলে এক জন বিদেশি ব্যাটার খেলালে তারা ভাল করত বলে মনে করেন প্রসন্ন।
এই বিশ্লেষণ ভাল ভাবে নেননি চেন্নাইয়ের সমর্থকেরা। বিশেষত যেখানে নুর চেন্নাইয়ের হয়ে সবচেয়ে ভাল খেলছেন, বেগনি টুপির তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন, সেখানে কী ভাবে তাঁকে বাইরে রাখা যায়? সমালোচনা করেছেন তাঁরা। বিতর্কের মুখে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে নেমেছে অশ্বিনের ইউটিউব চ্যানেল।
একটি বিবৃতিতে তারা জানিয়েছেস “গত সপ্তাহে আমাদের একটা বিশ্লেষণ নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বাকি মরসুমে চেন্নাইয়ের কোনও ম্যাচের বিশ্লেষণ এই চ্যানেলে হবে না। আমরা বাক্স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। এখানে বিভিন্ন বিশ্লেষক এসে তাঁদের কথা বলেন। অতিথিরা তাঁদের মত জানান। সেটা অশ্বিনের মত নয়। তাও কেউ কোনও কথায় দুঃখ পেলে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। অবশ্য আইপিএলের বাকি সব ম্যাচের বিশ্লেষণ আমরা করব।”
গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
বিতর্ক শুরু হওয়ার পর অশ্বিনের ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল চেন্নাইয়ের প্রধান কোচ স্টিফেন ফ্লেমিংকে। জবাবে তিনি বলেছিলেন, “অশ্বিনের যে ইউটিউব চ্যানেল আছে, সেটা আমি জানতামই না। তাই আমি ওই চ্যানেল দেখি না। এই প্রশ্নের কোনও মানে নেই।” তবে চাপের মধ্যে যে অশ্বিন পিছু হটলেন, তা ক্রিকেটারের এই সিদ্ধান্ত থেকেই পরিষ্কার।