হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী ক্রিকেট স্টেডিয়াম। —ফাইল চিত্র।
আইপিএলের মাঝে বিপাকে হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এইচসিএ)। তহবিল ব্যবহার এবং প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে তেলঙ্গনা হাই কোর্ট। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দৈনন্দিন কাজকর্ম পরিচালনা এবং কর্মীদের বেতন ছাড়া অন্য কোনও খাতে খরচ করতে পারবেন না এইচসিএ কর্তারা। সব ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
তেলঙ্গনা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (টিসিএ) আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল এইচসিএ-র বিরুদ্ধে। সেই মামলার ভিত্তিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিভি ভাষ্কর রেড্ডির বেঞ্চ। এইচসিএ-র বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে তুলে সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাই কোর্টে গিয়েছিল টিসিএ। সংস্থার সচিব ধরম গুরুভা রেড্ডি বলেছেন, ‘‘আর্থিক অনিয়ম নিয়ে আমরা আগেই অভিযোগ করেছিলাম দুর্নীতি দমন ব্যুরোর (এবিসি) কাছে। এবিসি রাজ্য স্তরের সংস্থা। তারা তাদের কাজ করেছে। তবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়নি। রাজ্যের নিয়ন্ত্রিত সংস্থাগুলোকে একটা সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকে কাজ করতে হয়। রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলোকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) টাকা পাঠায়। বোর্ডের সদর দফতর মুম্বইয়ে। সেখানেই অধিকাংশ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজ্যের সংস্থার পক্ষে কিছু করা কঠিন। তাদের এক্তিয়ারের বাইরে। তাই আমরা চাই আর্থিক তছরুপের তদন্ত করুক সিবিআই।’’
তেলঙ্গনা হাই কোর্টে মামলার শুনানির সময় সিবিআই এবং বিসিসিআইয়ের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা কোনও আপত্তি জানাননি। টিসিএ-র অভিযোগ এইচসিএ-র সভাপতি জগন মোহন রাও, সচিব এবং কোষাধ্যক্ষ নিয়মের তোয়াক্কা না করেই চেকে সই করছেন। নিজেদের ইচ্ছা মতো তহবিল ব্যবহার করছেন। এইচসিএ ভাগ হলেও এখনও এক সঙ্গেই (টিসিএ) টাকা পাঠায় বিসিসিআই। সেই টাকার ভাগ নিয়ে আইনি লড়াইয়ে জড়িয়েছে দুই ক্রিকেট সংস্থা।