বিরাট কোহলি। ছবি: পিটিআই।
পাঁচ বছর পর বিদেশের মাটিতে টেস্ট শতরান করলেন বিরাট কোহলি। এর আগে ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার পারথে শতরান করেছিলেন। পরেরটি এল শুক্রবার ত্রিনিদাদে। এই পাঁচ বছরে টেস্ট শতরান এসেছে তিনটি। সবই দেশের মাটিতে। এ বার বিদেশের মাটিতে শতরান করে সমালোচকদের উত্তর দিলেন বিরাট। সেই জবাবে ছিল খোঁচা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ৭৬ রানে আউট হয়েছিলেন বিরাট। অনেককে বলতে শোনা গিয়েছিল যে এই দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজ়কে পেয়েও শতরান করতে পারলেন না তিনি। সেই সব নিন্দকদের ব্রায়ান লারার ঘরের মাঠে শতরান করে জবাব দিলেন বিরাট। তবে জবাব দিতে গিয়ে যে পরিসংখ্যান তিনি তুলে ধরেছেন, তার সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই। দিনের শেষে তিনি বলেন, “অনেকে অনেক কথা বলবে। বিদেশের মাটিতে আমার ১৫টি শতরান আছে। এটা মনে হয় খুব একটা খারাপ পরিসংখ্যান নয়। দেশের থেকে বিদেশের মাটিতে আমার বেশি শতরান আছে (একটি বেশি)। আমি সব সময় চেষ্টা করি নিজের সেরাটা দিতে। আমি বিদেশে ৩০টা টেস্টও খেলিনি (আসলে খেলেছেন ৬১টি)। আমার কিছু অর্ধশতরানও আছে।”
বিরাট মনে করেন তিনি কত রান করলেন, সেটা কেউ মনে রাখবে না। দল জিতল কি না সেটাই সকলে মনে রাখে। বিরাট বলেন, “দলের জন্য রান করতে চাই আমি। আমি ৫০ করলে লোকে বলে ১০০ করতে পারলাম না। ১২০ করলে বলে ২০০ করতে পারলাম না। এই ১৫ বছরের কেরিয়ারে এ সব আমি আর মাথায় রাখি না। আমি কত রান করলাম সেটা কেউ মনে রাখবে না। আমি ম্যাচ জেতাতে পারলাম কি না সেটা মনে রাখবে। আমার সৌভাগ্য যে, আমি ৫০০ ম্যাচ খেলতে পেরেছি। ভাবিনি কখনও যে এটা হবে। এটা কঠিন পরিশ্রমের ফল। খেলার প্রতি আমার দায়বদ্ধতার ফলেই সব কিছু ফেরত পাচ্ছি।”
He knows a thing or two about scoring a TON in Trinidad! #TeamIndia | #WIvIND | @imVkohli | @windiescricket pic.twitter.com/FZw7stxSqC
— BCCI (@BCCI) July 22, 2023
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে বিরাট ২০৬ বলে ১২১ রান করেন। রান আউট হন তিনি। স্কোয়ার লেগ থেকে আলজারি জোসেফের ছোড়া বলে আউট হন বিরাট। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, “সব সময় চেষ্টা করি এক রানকে দু’রানে কী করে পরিণত করা যায়। সেই সুযোগ পেলে ছাড়ি না। আমি তেমন ব্যাটার নই যে, অপেক্ষা করব কখন বাউন্ডারি মারার বল আসবে। এ রকমও হয় যে, যখন ৯০ রানে পৌঁছেছি, তখন হয়তো মাত্র ছ’টা বাউন্ডারি মেরেছি। অনবরত সিঙ্গলস নিতে থাকলে আমার উপর থেকে চাপ কমে যায়। আমার ফিটনেসের জন্যই সহজে এটা করতে পারি। অনায়াসে ৩০০ বল ব্যাট করতে পারি আমি।”
যেখানে শতরান করলেন, সেই ত্রিনিদাদকে বিদেশের মাটিতে নিজের অন্যতম প্রিয় মাঠ হিসাবে বেছে নিয়েছেন বিরাট। পাশাপাশি আরও তিনটি মাঠকেও বেছেছেন তিনি। বিরাট বলেন, “আমার ব্যাট করতে ভাল লাগছিল। একটা ছন্দ পেয়ে গিয়েছিলাম। এই মাঠের সঙ্গে ইতিহাস জড়িয়ে আছে। সমর্থকেরা এখানে খেলা দেখতে পছন্দ করেন। ক্যারিবিয়ায় অ্যান্টিগুয়া এবং ত্রিনিদাদ আমার পছন্দের দু’টি জায়গা। এ ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গেও আমার খেলতে ভাল লাগে।”