T20 World Cup 2022

ফাইনালে কালো রঙের আর্মব্যান্ড পরে নামলেন ইংরেজ ক্রিকেটাররা, কেন

টস করার সময়ই ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলারের হাতে দেখা যায় কালো আর্মব্যান্ড। পরে ফিল্ডিংয়ে নামার সময় বাকি ইংরেজ ক্রিকেটাররাও হাতে কালো আর্মব্যান্ড পরেন। কাকে শ্রদ্ধা জানাতে এই কাজ করল ইংল্যান্ড?

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২২ ১৬:১৩
বাটলার, স্টোকসরা রবিবার ফাইনালে নামলেন কালো আর্মব্যান্ড পরে।

বাটলার, স্টোকসরা রবিবার ফাইনালে নামলেন কালো আর্মব্যান্ড পরে। ছবি: টুইটার

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে রবিবার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান এবং ইংল্যান্ড। ঠিক যেন ১৯৯২ বিশ্বকাপের ফাইনালের পুনরাবৃত্তি। সেই ম্যাচে টস করতে নামার সময় ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলারের হাতে দেখা গেল কালো আর্মব্যান্ড। পরে ফিল্ডিংয়ে নামার সময় বাকি ইংরেজ ক্রিকেটাররাও হাতে কালো আর্মব্যান্ড পরে ছিলেন। ব্যাট করার সময়ও একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে।

ফাইনালে হঠাৎ কালো আর্মব্যান্ড পরে কেন নামলেন জস বাটলাররা?

Advertisement

জানা গিয়েছে, প্রয়াত ডেভিড ইংলিশকে শ্রদ্ধা জানাতেই এই কাজ করেছে দল। ডেভিডকে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটের ‘গডফাদার’ বলা হয়। শনিবার ৭৬ বছর বয়সে তিনি মারা যান। ফাইনালের আগে বাটলার টুইট করেন, “ডেভিড ইংলিশের মৃত্যুর খবরে অত্যন্ত ব্যথিত। মানুষ হিসেবে দারুণ ছিলেন। ওঁর সঙ্গে সময় কাটিয়ে খুবই মজা পেতাম। ওঁর বানবারি ফেস্টিভ্যাল ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় খেলে অনেক ক্রিকেটার উঠে এসেছে।”

ইংরেজ ক্রিকেটার ক্রিস ওকসও বার্তা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “ডেভিড ইংলিশের প্রয়াণের খবর খুবই দুঃখজনক। ক্রিকেটের জন্য অনেক কিছু করেছেন উনি। ওর সঙ্গে সময় কাটাতে খুবই ভাল লাগত। কখনও আনন্দ কমতে দিতেন না।”

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের কাছে সুযোগ রয়েছে দ্বিতীয় দল হিসাবে দ্বিতীয় বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার। অন্য দিকে, ২০১৬-য় ফাইনালে হারের পর এ বার ট্রফি তুলতে চায় ইংল্যান্ড। ম্যাচের আগে বাবর বলেছেন, “চিন্তার থেকে আমি বেশি উত্তেজিত। চাপ একটা রয়েছেই। তবে আত্মবিশ্বাস থাকলে সেটা অনুভূতই হবে না। ভাল ফলের জন্যে সেটা দরকার। ইংল্যান্ড শক্তিশালী দল। ভারতের বিরুদ্ধে ওদের দাপুটে জয়ই সেটা প্রমাণ করেছে। কিন্তু আমরা পরিকল্পনা থেকে সরছি না। জোরে বোলারদের নিয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। সেটা প্রয়োগ করেই ইংল্যান্ডকে হারাতে চাই।”

ম্যাচের আগে বাটলার সাফ বললেন, তাঁরা যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে পারেন, তা হলে নিঃসন্দেহে ইংল্যান্ডের ফুটবল দলকে অনুপ্রাণিত করতে পারবেন তাঁরা। তাঁর কথায়, “খেলাধুলো ইংরেজদের সংস্কৃতির একটা অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। বিশ্বকাপে দলের পাশে দাঁড়ানোর ব্যাপারে তাদের তুলনা নেই। আমরা বিশ্বের অন্য প্রান্তে রয়েছি ঠিকই। কিন্তু সেই সমর্থন পাচ্ছি। তাই আমাদের জয় ওদের অনুপ্রাণিত করতেই পারে।”

আরও পড়ুন
Advertisement