অ্যাডিলেডের এই মাঠে ভারতের টেস্ট ইনিংস শেষ হয়েছিল ৩৬ রানে।
অ্যাডিলেড ওভালে বাংলাদেশের মুখোমুখি ভারত। অস্ট্রেলিয়ার এই মাঠে খেলার স্মৃতি ভারতীয় দলের জন্য সুখকর নয়। ২০০০ সালের ডিসেম্বরে দিন-রাতের টেস্টে এই মাঠেই ৩৬ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল ভারতীয় দলের ইনিংস। বুধবার সকালে তা মনে করিয়ে দিলেন ভারতীয় দলের তৎকালীন কোচ রবি শাস্ত্রী।
সেই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছিল বিরাট কোহলির দলের ইনিংস। সর্বোচ্চ রান ছিল ময়াঙ্ক অগ্রবালের ৯। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের দাপটে মাত্র ২১.২ ওভারেই সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন ভারতের সব ব্যাটার। সেই মাঠেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শাকিব আল হাসানের দলের মুখোমুখি রোহিত শর্মারা।
প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে ওঠার জন্য বুধবারের ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ দু’দলের কাছেই। তা অজানা নয় ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচের। অ্যাডিলেড টেস্টে ভারতীয় ইনিংসের ধস সাজঘরে বসে দেখেছিলেন শাস্ত্রী। আবার এই বিপর্যয়ের পরই দুরন্ত ভাবে ফিরে আসে ভারত। পরে দু’টি টেস্ট অজিঙ্ক রহাণের নেতৃত্বে জিতে সিরিজ়ও জিতে নেয় ভারত। উল্লেখ্য, মেয়ের জন্মের জন্য প্রথম টেস্টের পর দেশে ফিরে এসেছিলেন কোহলি।
ফেসবুকে নিজের পোস্টে শাস্ত্রী লিখেছেন, ‘এই সেই মাঠ যেখানে অস্ট্রেলিয়া সব সময় আগ্রাসী থেকেছে। ২০১৯ সালে শুরু হয়েছিল সেই আগ্রাসন। অবশ্যই ৩৬ রানে অল আউট হওয়ার কথাও বলতে হবে।’ ভারতীয় ক্রিকেটের সেই লজ্জার শরিক শাস্ত্রী নিজেও। কারণ তিনিই ছিলেন কোচ। ক্রিকেটারদের ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছিল তাঁর পরামর্শ। রহানেদের বুঝিয়ে ছিলেন, একটা খারাপ দিনে সব শেষ হয়ে যায় না। শাস্ত্রীর পথে হেঁটেই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ় জিতে নিয়েছিল ভারত। অর্থাৎ, সেই সফরে শুরুর না হলেও শেষের স্মৃতি ভারতীয় দলের জন্য সুখের। ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ সম্ভবত সে কথাই বোঝাতে চেয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট মাঠগুলির মধ্যে অন্যতম সেরা অ্যাডিলেড ওভাল। ২২ অক্টোবর থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হলেও এই মাঠে বুধবারের আগে একটাও খেলা হয়নি। নেদারল্যান্ডস বনাম জ়িম্বাবোয়ে ম্যাচই প্রথম। তার পরেই মুখোমুখি হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ। শাকিবের দলকে হারিয়ে সেমিফাইনালের জায়গা নিশ্চিত করে নেওয়ার সুযোগ রাহুলদের সামনে।