বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করেছে নামিবিয়া। ছবি রয়টার্স
আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের শেষ দিকে ফুল লেংথ ডেলিভারিটা ডেভিড ওয়েস কভারের উপর দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠানোর পরেই কেঁদে ফেলেছিলেন নামিবিয়ার অধিনায়ক জেরার্ড ইরাসমাস। অবশেষে স্বপ্ন সফল। বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলতে পারবেন তাঁরা। ছোট একটি দেশের পক্ষে তা এক বিরাট সম্মানের। এ বারের বিশ্বকাপই শুধু নয়, পরের বার বিশ্বকাপেরও যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছে তারা। এ বারের বিশ্বকাপে ভারতের সঙ্গে গ্রুপ বি-তে রয়েছে নামিবিয়া।
ম্যাচের পর কথা বলতে এসে কার্যত ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলেন ইরাসমাস। আয়ারল্যান্ডের মতো টেস্ট খেলিয়ে দেশকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন নেহাত ছেলেখেলা নয়। তাঁর ঘোর কাটছিলই না। কোনও মতে বললেন, “একটা টলোমলো জাহাজে পাড়ি দিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে এসেছিলাম। একটা ছোট দেশে মাত্র কয়েক জন ক্রিকেট খেলে। সেখান থেকে বিশ্বকাপে! আমরা নিজেদের নিয়ে গর্বিত।”
Reason why cricket is not just a sport but EMOTION❤#Namibia celebrating their victory over #Ireland which lead them to super 12 in #T20WorldCup pic.twitter.com/elpi3CSl2i
— Prasad Kadam (@Prasadkadam0505) October 22, 2021
টি-টোয়েন্টি ক্রমতালিকায় ১৯ নম্বরে রয়েছে নামিবিয়া। বিশ্বকাপ খেলিয়ে দেশগুলির মধ্যে সব থেকে নীচে। গোটা দেশে থাকেন মাত্র ২৫ লক্ষ মানুষ। মাত্র ন’টি পিচ রয়েছে গোটা দেশে। ক্রিকেট খেলে মাত্র পাঁচটি ক্লাব। মাত্র দু’বছর আগে আইসিসি-র ক্রিকেট খেলিয়ে দেশের সম্মান পেয়েছে। আয়ারল্যান্ডের আগে যোগ্যতা অর্জন পর্বে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েছিল তারা।
নামিবিয়ার কোচ পিয়ের দ্য ব্রুইন বললেন, “এই ক্রিকেটারদের স্বপ্ন সত্যি হল। বিশ্বকাপে ভারত বা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলার স্বপ্ন ওরা দেখা শুরু করেছিল ছ’সাত বছর বয়সে। এ বার সেটাই সত্যি হতে চলেছে। এতদিন ধরে যাদের টিভিতে দেখত এ বার তাদের বিরুদ্ধে মাঠের লড়াইয়ে নামতে চলেছে। আমাদের খুব বেশি অর্থ নেই। বিশ্বকাপের জন্য মাত্র ১৮ জন ক্রিকেটার আমাদের হাতে ছিল। গত তিন বছর ধরে ওরা যে কী পরিশ্রম করেছে সেটা শুধু আমিই জানি।”