সুনীল নারাইন। ছবি: পিটিআই।
প্রথমে ব্যাট হাতে ১৬ বলে ২৭ রান। এর পর ২৯ রানে ৩ উইকেট। মাঝে একটি ক্যাচ এবং সরাসরি থ্রোয়ে একটি রান আউটও রয়েছে। মঙ্গলবার দিল্লির বিরুদ্ধে কেকেআরের জয়ে তিন বিভাগেই অবদান রেখেছেন সুনীল নারাইন। ম্যাচের সেরাও হয়েছেন। তবে জয়ের কৃতিত্ব নিজে নিতে রাজি হলেন না নারাইন। তাঁর মতে, সতীর্থেরা পাশে না থাকলে জয় আসত না।
ম্যাচের পর নারাইন বলেন, “গোটা দলের প্রচেষ্টাতেই আমরা জিতেছি। মাঝের দিকের ওভারে অঙ্গকৃশ এবং রিঙ্কু ভাল খেলেছে। আমি নিজে যত বারই ব্যর্থ হই না কেন, ফিরে আসার চেষ্টা করি এবং দলকে সাহায্য করার চেষ্টা করি। আজও সেটাই করেছি। কিছু কিছু ম্যাচে শুরুটা ভাল হলেও পরের দিকে সমস্যায় পড়তে হয়। আবার কিছু ম্যাচে শুরুটা খারাপ হলেও শেষটা ভাল হয়। আজ দ্বিতীয়টাই হয়েছে।”
এ দিন ফাফ ডুপ্লেসি, অক্ষর পটেল এবং ট্রিস্টান স্টাবসকে ফিরিয়েছেন নারাইন। পরিস্থিতির বিচারে সব ক’টিই গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। কোনটি সেরা ছিল? নারাইনের উত্তর, “সব ক’টা উইকেট পেয়েই ভাল লেগেছে। কারণ সব উইকেটই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আসলে যত বেশি উইকেট পাব, তত দলের ভাল। তাই সেরা উইকেট নিয়ে মাথা ঘামাই না।”
ব্যাটিং, বোলিং তবু ঠিক আছে। কিন্তু সরাসরি থ্রোয়ে নারাইন কাউকে রান আউট করছেন, এমনটা সচরাচর দেখা যায় না। সেটাই দেখা গিয়েছে দিল্লি ম্যাচে। শর্ট ফাইন লেগ থেকে সরাসরি থ্রোয়ে কেএল রাহুলকে ফিরিয়ে দেন। ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয় ওই আউট। রিভিউয়ে তৃতীয় আম্পায়ার আউট ঘোষণার পর বাকিরা যখন উৎসব করছেন, তখনও ভাবলেশহীন ছিলেন নারাইন।
ম্যাচের পর সেই রান আউটের প্রসঙ্গে বললেন, “আমি জানি যে খুব ভাল ফিল্ডার নই। কিন্তু রান আউট যে কোনও সময়ে করতে পারলেই খুব ভাল লাগে। আজকের রান আউটের পিছনে আলাদা কোনও রহস্য নেই। সব সময়ে চেষ্টা করি বলটা যত জোরে সম্ভব উইকেট লক্ষ্য করে ছুড়ে দিতে।”
কোনও ম্যাচে সব বিভাগেই ব্যর্থ হয়েছেন, এমনটা খুব কমই ঘটেছে নারাইনের জীবনে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ক্রিকেটার এ ভাবেই খেলতে চান। বলেছেন, “দল চাপে থাকলে নিজের পারফরম্যান্সের সাহায্যে সব সময় অধিনায়ককে একটা বিকল্প দেওয়ার চেষ্টা করি। সে রকম ক্রিকেটার হতে গেলে কঠোর অনুশীলন করতে হবে। অনুশীলন না থাকলেও নিজেকে উজাড় করে দিতে হবে।”