পিচ খতিয়ে দেখছেন হায়দরাবাদের কোচ ড্যানিয়েল ভেত্তোরি (বাঁ দিকে) ও অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ছবি: পিটিআই।
আবার পিচ-বিতর্ক আইপিএলে। কলকাতা নাইট রাইডার্স, লখনউ সুপার জায়ান্টস, চেন্নাই সুপার কিংস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর দলে নাম লেখাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদও। এ বারের আইপিএলে যে দলই নিজেদের ঘরের মাঠে হারছে, সেই দলই পিচকে দায়ী করছে। সেই একই কাজ করতে দেখা গেল হায়দরাবাদকে।
বুধবার ঘরের মাঠে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে হেরেছে হায়দরাবাদ। যে পিচে তারা একটি ম্যাচে ২৮৬ রান করেছে সেই পিচে ১৪৩ তুলতে হিমশিম খেয়েছে তারা। কেন এমন হয়েছে? ম্যাচ শেষে হায়দরাবাদের কোচ ড্যানিয়েল ভেত্তোরির দাবি, পিচ রাতারাতি বদলে গিয়েছে। তাঁরা সেটা বুঝতেই পারেননি। সাংবাদিক বৈঠকে ভেত্তোরি বলেন, “এই মাঠেও টস খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আমরা আলোচনা করছিলাম যে, এটা ২৫০-২৮০ রানের উইকেট। কিন্তু যে রকম ভেবেছিলাম, পিচ তেমন ছিল না। রাতারাতি তা বদলে গিয়েছে। এই পিচে কত রান করলে ম্যাচ জেতা যাবে সেটা বোঝা কঠিন। আমরা পিচ বুঝতেই পারিনি।”
হায়দরাবাদের ইনিংসের শুরু থেকেই উইকেট পড়তে শুরু করে। পাওয়ার প্লে-তে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৪ রান ছিল তাদের। ভেত্তোরি জানিয়েছেন, তাঁরা যত ক্ষণে পিচ বুঝতে পেরেছেন তত ক্ষণে খেলা হাতের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে। ভেত্তোরি বলেন, “আমরা পাওয়ার প্লে ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম। আমাদের পরিকল্পনা ছিল শুরু থেকে আক্রমণে যাওয়া। কিন্তু পর পর উইকেট পড়ল। দু’-তিন ওভার হওয়ার পর বুঝলাম, এটা ২৫০-২৬০ রান করার পিচ নয়। কিন্তু তত ক্ষণে আমাদের সেরা ব্যাটারেরা আউট হয়ে গিয়েছে। আর কিছু করার ছিল না।”
এর আগে পিচ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন কেকেআরের অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে, লখনউয়ের মেন্টর জাহির খান, চেন্নাইয়ের কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং ও বেঙ্গালুরুর ব্যাটিং কোচ দীনেশ কার্তিক। যদিও বোর্ড জানিয়েছে, এক বার প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার পরে এই ধরনের অভিযোগের কোনও মানে নেই। আইপিএলের আগে পিচ প্রস্তুতকারকের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল দলগুলির। তার পরেও পিচ নিয়ে ক্ষোভ কমছে না। সেই তালিকায় এ বার যোগ হল হায়দরাবাদও।
গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
মুম্বই-হায়দরাবাদ ম্যাচে একটি অদ্ভুত ঘটনাও ঘটে। ব্যাট বল না লাগলেও ক্রিজ় ছেড়ে বেরিয়ে যান ঈশান কিশন। গত মরসুম পর্যন্ত মুম্বইয়ে খেলতেন তিনি। ঈশানের উইকেট হায়দরাবাদকে আরও চাপে ফেলে দিয়েছে বলে মনে করেন ভেত্তোরি। তিনি বলেন, “ঈশানের কাজে আমি হতাশ। পাওয়ার প্লে কাজে লাগানো উচিত। সেখানে আউট না হয়েও ও চলে এল। এতে দল আরও চাপে পড়ে গেল।”
আট ম্যাচে ৪ পয়েন্ট হায়দরাবাদের। পয়েন্ট তালিকায় নবম স্থানে থাকলেও এখনও প্লে-অফে ওঠার স্বপ্ন দেখছেন ভেত্তোরি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বা চেন্নাই সুপার কিংসের উদাহরণ টানছেন তিনি। তবে এই মরসুমে হায়দরাবাদ যা খেলেছে, তাতে সেই আশা খুব কম।