বাঁ দিক থেকে, নাউমান নিয়াজ ও শোয়েব আখতার ফাইল চিত্র।
পাকিস্তান টিভি-র বিতর্ক থামার কোনও লক্ষণ নেই। অনুষ্ঠানের মধ্যে সঞ্চালক নাউমান নিয়াজের সঙ্গে প্রকাশ্য বিবাদে জড়ান পাকিস্তানের প্রাক্তন জোরে বোলার শোয়েব আখতার। এই ঘটনায় পরে শোয়েবের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান নাউমান। কিন্তু তাঁকে ক্ষমা করতে রাজি নন শোয়েব। তাঁর দাবি, নাউমানের উচিত টেলিভিশন চ্যানেলের কর্মী ও দর্শকদের কাছে ক্ষমা চাওয়া। তাঁর কাছে সেই সময়ই নাউমানের ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি।
পাকিস্তানের অন্য একটি সংবাদমাধ্যমে শোয়েব বলেন, ‘‘আমি সে দিনই ক্ষমা চাইতে বলেছিলাম। এখন নয়। সেই সময় ক্ষমা চাওয়া হয়নি। তা হলে এখন ক্ষমা চেয়ে কোনও লাভ নেই। তার বদলে ওর উচিত পাকিস্তান টিভির কর্মী ও দর্শকদের কাছে ক্ষমা চাওয়া। আমি অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে যাওয়ার সঙ্গেই সেই ঘটনা ভুলে গিয়েছি।’’
নিজের স্বভাবের বিরুদ্ধে গিয়ে তিনি অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন বলে জানান আখতার। তিনি বলেন, ‘‘আমি সে দিন অনেক কিছু করতে পারতাম। আমার ক্ষমতা কতটা তা সবাই জানে। কিন্তু আমি তা করতে চাইনি। আমাকে যাঁরা চেনেন তাঁরা জানেন এটা আমার স্বভাব বিরুদ্ধ। তাই সে দিন আমি কিছু করতে চাইনি।’’
নিউজিল্যান্ড বনাম পাকিস্তান ম্যাচের পর একটি আলোচনায় গণ্ডগোল হয় শোয়েব এবং নাউমানের মধ্যে। পাকিস্তান পেসার সুপার লিগের দল লাহৌর কালান্দারস, শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং হ্যারিস রউফের প্রশংসা করছিলেন। সেই সময় তাঁকে বাধা দেন সঞ্চালক। তাতেই রেগে যান শোয়েব। শো ছেড়ে বেরিয়েও যান তিনি।
কয়েক দিন পরে ইউটিউবে একটি অনুষ্ঠানে ক্ষমা চান নাউমান। তিনি বলেন, ‘‘শোয়েব আখতার এক জন তারকা। আমি যে ব্যবহার করেছি তার জন্য লক্ষ বার ক্ষমা চাইব। আমার কোনও অধিকার নেই এ ভাবে ওঁকে অপমান করার। ক্যামেরার সামনে যা হয়েছে তা মোটেও অভিপ্রেত নয়।’’ এখানেই থেমে থাকেননি নাউমান। তিনি আরও বলেন, ‘‘শোয়েবের সঙ্গে চ্যানেলের আর্থিক চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তি না মেনে দুবাই গিয়ে অন্য একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন শোয়েব। চ্যানেলকে খেলার পুতুল মনে করেছেন তিনি। সে সব ঘটনা আমার মাথায় ঘুরছিল। তাই হয়তো এই ঘটনা হয়েছে।’’