Shaheen Afridi

পাকিস্তানের ক্রিকেটে আবার বিতর্ক, নতুন কোচ কার্স্টেনের কথা উড়িয়ে দিলেন শাহিন আফ্রিদি

গ্যারি কার্স্টেন বলেছিলেন শাহিন আফ্রিদিকে বিশ্রাম দিয়ে খেলাতে হবে। তাঁর উপর বেশি চাপ পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু শাহিন নিজে তা মানতে চাইলেন না। ঘুরিয়ে কোচকেই কথা শুনিয়ে দিলেন পাক পেসার।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৫৬
Shaheen Afridi

শাহিন আফ্রিদি। —ফাইল চিত্র।

পাকিস্তানের সাদা বলের কোচ গ্যারি কার্স্টেন বলেছিলেন শাহিন আফ্রিদিকে বিশ্রাম দিয়ে খেলাতে হবে। তাঁর উপর বেশি চাপ পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু শাহিন নিজে তা মানতে চাইলেন না। ঘুরিয়ে কোচকেই কথা শুনিয়ে দিলেন পাক পেসার।

Advertisement

২০১১ সালে কার্স্টেনের প্রশিক্ষণেই বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। সেই কোচ এখন পাকিস্তানের দায়িত্ব নিয়েছেন। শাহিন সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন যে, পাক পেসারের উপর চাপ পড়ে যাচ্ছে। শাহিন বলেন, “আমি নাকি প্রচুর বল করছি। টেস্টে বিশ্বের সব বোলারের থেকে নাকি বেশি বল করছি। যদি অতীতের দিকে তাকাই তা হলে ওয়াকার ইউনিস, ওয়াসিম আক্রমদের সময় কী হত? ওদের উপর বেশি ম্যাচ খেলার চাপ পড়ত না?”

শাহিন মনে করেন না চাপ পড়ছে বলে। তিনি বলেন, “গত এক বছরে এই অতিরিক্ত চাপ নিয়ে কথা হচ্ছে। জানি না কেন এত বেশি আলোচনা হচ্ছে এটা নিয়ে। আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি এটাতে। আমার মনে হয় এগুলো প্রতিটা ক্রিকেটারের নিজস্ব ব্যাপার। তারা কী ভাবে খেলছে সেটার উপর নির্ভর করে এই চাপ। মানসিক ভাবে ফিট হতে হবে। সমস্যা এলে সেটার মোকাবিলা করতে হবে।”

কার্স্টেন যদিও শাহিনের বেশি বল করা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন। এক সপ্তাহ আগে তিনি বলেছিলেন, “আমি খবর পেলাম গত ১৮ মাসে বিশ্বের বাকি সব বোলারের তিন গুণ বেশি বল করেছে শাহিন। এটা খুবই উদ্বেগের। ওকে এখন বিশ্রাম দেওয়া উচিত ছিল। বোর্ডকে এই বিষয়টা ভাবতে হবে। প্রধান বোলারকে কোন সিরিজ়ে খেলানো উচিত সেটা দেখতে হবে। এই প্রতিযোগিতায় শাহিনকে বিশ্রাম দিলেও কোনও সমস্যা হত না।”

তথ্য দিতে গিয়ে অবশ্য একটু ভুল করে ফেলেছেন কার্স্টেন। গত ১৮ মাসে সবচেয়ে বেশি বল করেছেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক। ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে তিনি ৫৩১.৩ ওভার বল করেছেন। শাহিন করেছেন ৪৫৫.১ ওভার। দ্বিতীয় স্থানে তিনি। এই ১৮ মাসে অবশ্য সবচেয়ে বেশি ৯৬টি উইকেট নিয়েছেন শাহিন। যদিও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও তার পরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ফর্মে দেখা যায়নি তাঁকে। সেটাই চিন্তা বাড়াচ্ছে কার্স্টেনের।

আরও পড়ুন
Advertisement