পন্থ কত দিনে মাঠে ফিরতে পারবেন, তা নিয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না চিকিৎসকরা। ছবি: টুইটার।
ঋষভ পন্থ কত দিনে সুস্থ হবেন এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না চিকিৎসকরা। তাঁর ডান পায়ের হাঁটুর লিগামেন্টে অস্ত্রোপচার সফল। অস্ত্রোপচার হয়েছে ডান পায়ের গোড়ালিতেও। তা-ও এখনই পন্থের মাঠে ফেরা নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি নন মুম্বইয়ের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
চিকিৎসকরা তাঁকে কয়েক দিন পর হাঁটানোর চেষ্টা করবেন। তা পারলে শুরু হবে পন্থের সুস্থ হওয়ার প্রক্রিয়া। মুম্বইয়ের হাসপাতালের পক্ষে জানানো হয়েছে, ‘‘হাঁটতে পারলে চিকিৎসকরা পন্থের সুস্থ হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া শুরু করবেন। প্রথমে ওয়াকারের সাহায্যে হাঁটতে হবে তাঁকে। তার পর কোনও অবলম্বন ছাড়া হাঁটতে পারবেন। তাঁর সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার জন্য বিশেষ প্রক্রিয়া প্রয়োজন।’’ পন্থের হাঁটুর দু’টি লিগামেন্টই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কিছুটা চিন্তিত চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচার সফল হলেও কত দিনে তিনি স্বাভাবিক হাঁটা চলা করতে পারবেন, তা নিয়ে এখনই নিশ্চয়তা দিতে রাজি নন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘পন্থ যত়টা যন্ত্রণা সহ্য করতে পারবেন, তার উপর নির্ভর করবে তাঁর সুস্থতা। এক জন উইকেটরক্ষকের দু’টি লিগামেন্টই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া খুবই উদ্বেগজনক। এসিএল হাঁটুর মাঝখানে থাকে। এই লিগমেন্ট থাই বোন এবং সিন বোনকে জুড়ে রাখে। হাঁটুর সংযোগস্থলের স্থিতিশীলতা রক্ষা করে এই লিগামেন্ট। দু’টি লিগামেন্টই ছিঁড়ে যাওয়ার অর্থ আঘাতের মাত্রা অনেক বেশি। সুস্থ হতে যথেষ্ট সময় লাগবে।’’ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ক্রীড়া অস্থি বিশেষজ্ঞ দিনেশ পরদিওয়ালার নেতৃত্বে অস্ত্রোপচার হয়েছে পন্থের। এখন তরুণ ক্রিকেটার এখন কোকিলাবেন ধীরুভাই অম্বানি হাসপাতালের ক্রীড়া বিজ্ঞান এবং সুস্থতা বিভাগের প্রধান বৈভব দাগার চিকিৎসাধীন। তিনি বলেছেন, ‘‘এসিএল ক্ষতিগ্রস্ত হলে সাধারণ ভাবে ছয় থেকে ন’মাস লাগে সুস্থ হতে। তার পর আমরা পরিস্থিতি বিবেচনা করে মাঠে ফেরার অনুমতি দিয়ে থাকি। এমসিএল ক্ষতিগ্রস্ত হলে সুস্থ হতে তিন থেকে চার মাস লাগে। অনেকটাই নির্ভর করে অস্ত্রোপচার কেমন হয়েছে, তার উপর। শল্য চিকিৎসকের দক্ষতা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।’’
আগামী সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ পর্যন্ত খেলার সম্ভাবনা নেই পন্থের। অক্টোবর-নভেম্বরে এক দিনের বিশ্বকাপ খেলাও অনিশ্চিত তাঁর।
গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে দিল্লি থেকে সড়কপথে রুরকির বাড়িতে ফেরার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পন্থের গাড়ি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পন্থের গাড়িটি রাস্তার ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। গাড়িতে আগুন ধরে যায়। গুরুতর আহত হন পন্থ। ভারতীয় দলের উইকেটরক্ষক-ব্যাটারকে স্থানীয় উদ্ধারকারীরা প্রথমে রুরকির একটি হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে তাঁকে দেহরাদুনের একটি হাসাপাতালে এবং আরও পরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করায়।