ঋষভ পন্থ। ছবি: সমাজমাধ্যম।
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ইচ্ছাকৃত ভাবে সময় নষ্ট করেছিলেন ঋষভ পন্থ। এ বার কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচেও একই কাজ করেছিলেন। সেই জিনিস দেখা গিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচেও। বার বার পন্থ একই কাজ করায় সমালোচনা করেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফ।
শনিবার রাজস্থানের বিরুদ্ধে লখনউয়ের দু’রানে জয়ের পর সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন কাইফ। বলেছেন, “শেষ ওভার শুরু হয়েছিল রাত ১১.০৭ মিনিটে। দশ মিনিট ধরে একটা ওভার চলল। সেই ওভারে ইচ্ছা করে সময় নষ্ট করার কয়েকটা প্রচেষ্টা দেখতে পেলাম। পন্থ সময় নিল, বল বদলানো হল, আবেশ খান দৌড়তে গিয়ে হঠাৎ থেমে গেল। ইচ্ছা করে ব্যাটারদের অপেক্ষা করাচ্ছিল লখনউ।”
কাইফ আরও বলেছেন, “এটা প্রথম বার নয়। ২০২৪ বিশ্বকাপ ফাইনালে যখন দক্ষিণ আফ্রিকার ৩০ বলে ৩০ রান দরকার এবং ক্লাসেন ও মিলার ক্রিজ়ে ছিল, তখন পন্থ চোটের ভান করে মাটিতে শুয়ে পড়েছিল। চাপের সময় সব সময় ব্যাটারেরা চায় দ্রুত বল খেলে রান তুলে নিতে। সেখানে চালাকি করে পন্থ দেরি করছিল যাতে ওদের মনঃসংযোগ নষ্ট হয়ে যায়।”
উল্লেখ্য, গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে তখন ২৪ বলে ২৬ রান দরকার ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। দুরন্ত ছন্দে ছিলেন হাইনরিখ ক্লাসেন। ঠিক সেই সময় পন্থ জানান তাঁর হাঁটুতে সমস্যা হচ্ছে। ফিজিয়ো মাঠে নামেন। সময় নষ্ট হয়। পরের ওভারের প্রথম বলেই আউট হন ক্লাসেন। সেই পরিস্থিতি থেকে হারে দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারত বিশ্বকাপ জেতে। পরে অধিনায়ক রোহিত শর্মাও পন্থের বুদ্ধির প্রশংসা করেছিলেন।
কলকাতা ম্যাচের ১৩তম ওভারের আগে পন্থকে দেখা যায় মাঠে শুয়ে রয়েছেন। দেখে মনে হচ্ছিল, কোমরে ব্যথা হচ্ছে তাঁর। লখনউয়ের ফিজিয়ো নেমে তাঁকে পরীক্ষা করে দেখেন। কয়েক মিনিট সময় নষ্ট হয় তাতে। খেলা বন্ধ থাকে। খেলা শুরু হওয়ার পর সেই ওভারেই আউট হন রাহানে। তার পর থেকে নিয়মিত উইকেট পড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত ৪ রানে হারে কেকেআর।
পন্থ জানিয়েছেন, খেলার গতি কমানোর জন্য ইচ্ছা করে সময় নষ্ট করেছেন তিনি। ম্যাচ শেষে লখনউয়ের অধিনায়ক বলেন, “অনেক ভেবেই ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তখন কলকাতা ভাল ব্যাট করছিল। মনে হচ্ছিল হেরে যাব। তাই কিছু একটা করতেই হত। ওদের ছন্দ নষ্ট করার প্রয়োজন ছিল। সেটাই করেছি। কখনও সেই পরিকল্পনা কাজে লেগে যায়। কখনও লাগে না। এই ম্যাচে লেগেছে।”