মহম্মদ শামি। —ফাইল চিত্র।
শ্রেয়স আয়ারের ব্যাট কথা বললে আর চিন্তা থাকে না। আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধেও পঞ্জাব কিংসকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন গত মরসুমে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে চ্যাম্পিয়ন করা অধিনায়ক। শ্রেয়সের ৮২ রানের ইনিংসের সুবাদে প্যাট কামিন্সের দলের সামনে জয়ের জন্য ২৪৬ রানের লক্ষ্য রাখল পঞ্জাব। এই রানের পিছনে অবদান থাকল মহম্মদ শামিরও। কোনও কিছুইঠিক মতো হল না তাঁর। ৪ ওভারে ৭৫ রান বিলোলেন বাংলার জোরে বোলার। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ২৪৫ রান তুলল পঞ্জাব।
টস জিতে হায়দরাবাদের ২২ গজে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শ্রেয়স। প্রথম থেকে আগ্রাসী মেজাজে শুরু করেন দুই ওপেনার প্রিয়াংশ আর্য এবং প্রভশিমরন সিংহ। প্রিয়াংশ করেন ১৩ বলে ৩৬। ২টি চার এবং ৪টি ছয় মারেন তরুণ ব্যাটার। প্রভশিমরনের ব্যাট থেকে এসেছে ২৩ বলে ৪২ রান। ৭টি চারের পাশাপাশি ১টি ছয় মেরেছেন তিনি। তিন নম্বরে নেমে প্রায় শেষ পর্যন্ত দলের ইনিংস টেনে নিয়ে গেলেন অধিনায়ক শ্রেয়স। ৬টি করে চার এবং ছক্কার সাহায্যে ৩৬ বলে ৮২ রানের ইনিংসে শ্রেয়স আবার বুঝিয়ে দিলেন কী হারিয়েছে কলকাতা। চালিয়ে খেললেন চার নম্বরে নামা নেহাল ওয়াধেরাও। তিনি করেন ২২ বলে ২৭।
পঞ্জাবের প্রথম চার ব্যাটারের সামনে হায়দরাবাদের বোলারদের দিশাহারা দেখাল। তবু প্রত্যাশা মতো রান তুলতে পারল না পঞ্জাব। পরের দিকের ব্যাটারদের ব্যর্থতার জন্য। শশাঙ্ক সিংহ (২), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৩) পর পর আউট হওয়ায় কিছুটা চাপে পড়ে যায় পঞ্জাবের ইনিংস। এই সময় আউট হয়ে যান শ্রেয়সও। শেষ পর্যন্ত পঞ্জাবের ইনিংস টানেন মার্কাস স্টোইনিস। ১১ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ইনিংসের শেষ চার বলে শামিকে টানা চারটি ছক্কা মারেন তিনি। এ দিন কোনও সময়ই তাঁকে বল হাতে ভরসাযোগ্য মনে হয়নি।
শুধু শামিই নন। হায়দরাবাদের অন্য বোলারেরাও প্রত্যাশা মতো বল করতে পারেননি। কামিন্স ৪ ওভারে খরচ করেছেন ৪০ রান। হর্ষল পটেল ৪ উইকেট নিলেও দিয়েছেন ৪২ রান। ৪৫ রানে ২ উইকেট ইশান মালিঙ্গার।