MI vs KKR match today

‘অপয়া’ মাঠে সোমবার নামছে কেকেআর, ‘দুর্বল’ মুম্বইকে হারাতে পারবে রাহানের দল?

ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শনিবার মুখোমুখি মুম্বই এবং কলকাতা। মুম্বই যেমন মরসুমে প্রথম বার জিততে মরিয়া, তেমনই কেকেআরের সামনে সুযোগ বিপক্ষের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নেওয়া।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৫ ১০:০০
cricket

কলকাতা নাইট রাইডার্স দল। ছবি: পিটিআই।

আইপিএলে কলকাতা দলটি কেনার পর থেকেই মালিক শাহরুখ খান প্রতি বছর একটিই জিনিস চেয়েছেন। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারাতে। বার বারই সেই কাজ করতে অক্ষম হয়েছে নাইট রাইডার্স। ওয়াংখেড়ে তাই তাদের কাছে ‘অপয়া’ই। তবে গত মরসুমে ১২ বছরের খরা কাটিয়ে ওয়াংখেড়েতে জিতেছিল তারা। সোমবার সেই স্টেডিয়ামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে তারা। টানা দু’টি ম্যাচ হেরে আসা ‘দুর্বল’ মুম্বইকে হারের হ্যাটট্রিক উপহার দিতে মরিয়া কেকেআর।

Advertisement

২০২১-এর আইপিএল থেকে শুরু করে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ছ’বারের সাক্ষাতে পাঁচ বারই জিতেছে কেকেআর। তাই পরিসংখ্যান একটু হলেও তাদের উদ্বুব্ধ করবে। কিন্তু ক্রিকেট পরিসংখ্যান মেনে হয় না। ঘরের মাঠে প্রথম বার খেলতে নামা মুম্বই চাইবে কলকাতাকে হারিয়েই ঘুরে দাঁড়াতে। কেকেআরের বিরুদ্ধে রোহিত শর্মা এবং সূর্যকুমার যাদব দু’জনেই বরাবর ভাল খেলেন। তাঁরা চাইবেন, সোমবারের ম্যাচ থেকেই ফর্মে ফিরতে।

সুনীল নারাইন আগের ম্যাচে অসুস্থ থাকার পর সোমবার ফিরতে পারেন। বসতে হতে পারে মইন আলিকে। ওপেনিংয়ে কুইন্টন ডি’ককের সঙ্গী হতে পারেন নারাইনই। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ক্রিকেটার শুরুটা আগ্রাসী ভঙ্গিতে করলে কেকেআরকে চিন্তা করতে হবে না।

ডি’কক অতীতে বেশ কয়েক বছর মুম্বইয়ে খেলেছেন। ফলে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম তাঁর চেনা। আগের ম্যাচে অর্ধশতরান না পেলেও সোমবার তাঁর ব্যাটে আবার বড় রান দেখা যেতে পারে। একই কথা বলা যায় অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে এবং অঙ্গকৃশ রঘুবংশীর ক্ষেত্রেও। দু’জনেই মুম্বইয়ের ছেলে। রাহানে দীর্ঘ দিন ধরে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে খেলছেন। প্রতিটি ঘাস তাঁর চেনা। কিছু দিন আগে ঘরোয়া ক্রিকেটেও দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। রঘুবংশীও ওয়াংখেড়েতে খেলেই বড় হয়েছেন। নিজের শহরের সামনে কিছু প্রমাণ করার তাগিদ থাকবে তাঁদের মধ্যে।

কেকেআরের চিন্তা থাকবে মিডল অর্ডার নিয়ে। রিঙ্কু সিংহ, আন্দ্রে রাসেল, বেঙ্কটেশ আয়ারেরা প্রথম ম্যাচে রান পাননি। কেকেআরের জয়ের জন্য তাঁদের রানে ফেরা জরুরি। কোনও কারণে টপ অর্ডার খেলতে না পারলে তখন মিডল অর্ডারকে এগিয়ে আসতে হবে। সেই সময় রিঙ্কু, রাসেলরা রান না পেলে কেকেআর চাপে পড়বে।

জোরে বোলিং বিভাগ নিয়েও হালকা চিন্তা রয়েছে। বৈভব অরোরা আগের ম্যাচে উইকেট পেয়েছেন ঠিকই। তবে মাঝেমাঝেই নিয়ন্ত্রণহীন বল করে রান দিয়ে ফেলেন। হর্ষিত রানার বোলিং আগের থেকে ভাল হয়েছে। সবচেয়ে বেশি চিন্তা স্পেন্সার জনসনকে নিয়ে। অসি বোলার আগের দু’টি ম্যাচেই বিপুল রান দিয়েছেন। উইকেটও সে ভাবে পাচ্ছেন না। মুম্বইয়ের ব্যাটারেরা তাঁকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করতে পারেন। স্পিন বোলিংয়ে নারাইনের সঙ্গী হতে পারেন বরুণ চক্রবর্তী। এই জুটি গত মরসুম থেকেই কেকেআরকে সাফল্য এনে দিয়েছে।

জসপ্রীত বুমরাহের না থাকা এবং রোহিত শর্মার খারাপ ফর্ম মুম্বইকে সবচেয়ে বেশি চিন্তায় রাখবে। বুমরাহ সোমবারেও খেলবেন না। কবে পাওয়া যাবে তার ঠিক নেই। ব্যাট করার সময় শুরুতেই যে ভাবে রোহিত আউট হচ্ছেন, তা নিয়ে চিন্তার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নদের দল নির্বাচনও প্রশ্ন তোলার মতো। প্রথম ম্যাচে তিন উইকেট পাওয়া ভিগ্নেশ পুতুরকে কেন বসানো হল তার কোনও উত্তর মেলেনি। দায়সারা ভাবে বলা হয়েছিল, অহমদাবাদের পিচ নাকি পুতুরের বোলিংয়ের জন্য আদর্শ নয়!

দ্বিতীয়ত, শনিবারের ম্যাচে কেন রবিন মিঞ্জেরও পরে ব্যাট করতে নামলেন হার্দিক তা দুর্বোধ্য। তিনি চালিয়ে খেলেন। কেন আগে নামবেন না? তৃতীয়ত, দীপক চহর এবং ট্রেন্ট বোল্ট— বোলিং বিভাগের দুই আসল অস্ত্র পাওয়ার প্লে-তে প্রভাব ফেলতে পারছেন না। অথচ নতুন বল কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে দু’জনেই সুনাম রয়েছে। আরও প্রকট হয়ে উঠছে বুমরাহের অনুপস্থিতি।

cricket

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

এত সমস্যা কাটিয়ে মুম্বইয়ে প্রথম জয় পায় কি না, সেটাই এখন দেখার। ওয়াংখেড়েতে মুম্বইকে হারানোর এত ভাল সুযোগ হয়তো আর পাবে না কেকেআর।

Advertisement
আরও পড়ুন