—প্রতীকী চিত্র।
৩৩ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন কাইয়া আরুয়া। পাপুয়া নিউ গিনির মহিলা দলের অলরাউন্ডারের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। ২০১০ সালে জাপানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল আরুয়ার।
বৃহস্পতিবার নিজের বাড়িতেই মৃত্যু হয়েছে আরুয়ার। তিনি অসুস্থ ছিলেন বলে আগে জানা যায়নি। তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। পাপুয়া নিউ গিনির প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বিশেষ কিছু জানানো হয়নি দেশের অন্যতম সেরা মহিলা ক্রিকেটারের মৃত্যুর ঘটনায়। একাই থাকতেন তিনি। ক্রিকেটীয় ব্যস্ততার জন্য মেয়েকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন মায়ের কাছে। তাঁর খেলার জন্য মেয়ের পড়াশুনা ক্ষতিগ্রস্ত হোক, তা চাইতেন না আরুয়া।
পাপুয়া নিউ গিনির অন্যতম সেরা মহিলা ক্রিকেটার ছিলেন আরুয়া। মূলত বোলিং অলরাউন্ডার ছিলেন। ব্যাটের হাতও খারাপ ছিল না ৩৩ বছরের আরুয়ার। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দেশকে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি। বাঁহাতি স্পিনারই পাপুয়া নিউ গিনির মহিলা ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক। দেশের হয়ে ৪৭টি ২০ ওভারের ম্যাচ খেলে ৫৯টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। জাপানের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে ৪ ওভার বল করে ৫ রান দিয়ে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন আরুয়া। যা তাঁর দেশের দ্বিতীয় সেরা বোলিং। ব্যাট হাতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর রয়েছে ৩৪১ রান। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৪৩।
গত জানুয়ারিতে প্যাসিফিক কাপে শেষ বার দেশের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন প্রতিযোগিতায় ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মহলের নজর কেড়েছিলেন তিনি।